রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ছালাম-নাছিরের ঐকম্যত চান নুরুল আলম

প্রকাশিতঃ ৯ এপ্রিল ২০১৮ | ৬:৪৩ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মধ্যে ঐক্যমত চেয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আজকের এই অনুষ্ঠানে এসে আমি খুশি হয়েছি। আরো খুশি হবো, এবার আমার দুই ভাই নাছির-সালাম যদি এক হয়।’

সোমবার (৯ এপ্রিল) রেডিসন ব্লু’র মেজবান হলে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সমঝোতা ম্মারক অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতির বক্তব্য তিনি এ প্রত্যাশা করেন।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ নিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মধ্যকার বিরোধ মিটিয়ে একসাথে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আসাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

নুরুল আলম চৌধুরী বলেছেন,‘যা উন্নয়ন হয় তা আল্লাহর পক্ষ থেকে ঠিক হয়। জমিনে ভালো যোগ্য মানুষরা তা বাস্তবায়ন করেন। শুধু কাজ শুরু করলেই হয়না, কাজ শেষ করার পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হয়। উন্নয়নের সুফল পেতে হলে, কিছুদিন কষ্ট করতে হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘নেত্রী দিয়েছেন আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে মডেল মসজিদটি আরো কোনো ভালো জায়গায় হতে পারতো।’

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চসিক যে ধরনের সহযোগিতা করবে জানিয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে নগরবাসীকেও সহযোগিতা করতে হবে। সিটি করপোরেশনে যেসব জনবল আছে, সবাইকে নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমি সহযোগিতা করবো।’

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য প্রয়াত চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আমার বাবা এই চট্টগ্রামের অধিকার আদাযে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু এখন আর রাস্তায় নামতে হয় না। চাওয়ার আগেই পায়, পাওয়ার আগে বাস্তবায়ন হয়ে যায়।’

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে সিডিএ মেগা প্রকল্প হাতে নেয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ প্রকল্পের খোঁজখবর নেন। যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এগিয়ে এসেছেন। আমি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন,‘চট্টগ্রাম শহর অন্যান্য জেলা শহর থেকে ব্যতিক্রম। পাহাড়, সমতল এলাকা বেষ্টিত এই শহর। আরও পাহাড়গুলো বালুময়। আমরা যতদিন পর্যন্ত পাহাড়ের ঢল বন্ধ করতে পারবো না, তাহলে তা সম্ভব হবে। এইটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের। নগরবাসীর যেই অভ্যাস, ময়লা খালে-ড্রেনে ফেলার, সেইসব অভ্যাস বন্ধ করতে হবে। নগরবাসীকে সচেতন এবং দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। পাশাপাশি জনমত তৈরির ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমের কার্যকরী ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। মানুষের মানসিকতা যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন অত্যন্ত কঠিন হবে।’

সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চসিক-সিডিএর কর্মকর্তাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

একুশে/এএ