ঢাকা: জাতীয় ঐক্যপ্রচেষ্টায় ‘প্রতিবন্ধক’ জামায়াতে ইসলামীকে মুক্তিযুদ্ধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা বা জাতির বৃহত্তম স্বার্থে পাশে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
আজ শনিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এমাজউদ্দীন আহমদ এই পরামর্শ দেন। বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘জামায়াতের কারণে জাতীয় ঐক্য হচ্ছে না’ এমন অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ‘জামায়াতের অধিকাংশ নেতা-কর্মীর জন্ম ’৭১–এর পরে। তারা এ মাটিরই সন্তান। তারা যদি জাতির কাছে ক্ষমা চায় যে, তাদের ‘মুরব্বিদের’ ভুল হয়েছিল, তারা যদি মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে নেয়, তাহলে আপত্তির কিছু থাকে না। অথবা জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হলে জামায়াত চুপচাপ বসে থাকতে পারে। তারা এক পাশে সরে দাঁড়াতে পারে।’
খালেদা জিয়ার আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে এমাজউদ্দীন বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য গড়ার উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাই ক্ষমতা থেকে তার সরে দাঁড়ানো উচিত।’
অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জঙ্গিবাদও একটি প্রতিবাদ। কিন্তু প্রতিবাদের এই ধারাটি গ্রহণযোগ্য নয়। এটি ভুল পদ্ধতি।’
ড্যাবের সভাপতি আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ–উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ড্যাবের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।