:: স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ::
বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় হাফিজ বলেন, মেরুদণ্ডহীন এই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণরুপে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে। শুধুমাত্র ঘোষণাটাই বাকি, তার জন্য আমরা মানুষিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছি।
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার লোভে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিবেন না। আপনি শেষ সরকার নন, এই দিনই শেষ দিন নয়। বেগম জিয়া লন্ডন থেকে এসে নিশ্চয়ই আন্দোলনের ডাক দিবেন। ৭১ এর মত আবার রাজপথে নামব, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন ঘোষণার আগেই বিরোধী দলের ৬ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে সম্পূর্ণরুপে বাকশাল কায়েম করেছে এই সরকার।
বিদেশি হত্যা প্রসঙ্গে বিএনপির হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডে আমরা উৎকণ্ঠিত। সারা বিশ্বের কাছে আজ বাংলাদেশ দুটি কারণে ঘৃনিত। একটি হচ্ছে- বিদেশি হত্যা এবং অন্যটি হচ্ছে- বিনা ভোটের এই সরকার।
যে দেশে শিশু হত্যাকারীদের ফুলের মালা দেয়া হয় সে দেশে শান্তি থাকতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা যে দেশে সারারাত মদ খেয়ে সকালে পিস্তল নিয়ে বের হয়ে নিরীহ শিশুদের গুলি করে করে, সে দেশে আর শান্তি থাকতে পারে না।
জনগণ যতদিন তাদের সুষ্ঠুভাবে ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে না পারবে ততদিন দেশের বর্তমান অরাজকতা থামবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।
আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, জামায়াত ইসলামীর অনেক নেতাকর্মী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, অনেক মুক্তিযোদ্ধা এখনও জামায়াত ইসলামীর রাজনীতিতে যুক্ত আছে। আমি তাদের অনেকেরই নাম বলতে পারবো।
মিথ্যার পুঁজিবাদী দল আওয়ামী লীগের কাছে শান্তি আশা করা যায় না মন্তব্য করে আলাল বলেন, এই দলটিতে যারাই নতুন আসে তারা অভিষিক্ত রিংয়ের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যায়। তারা বের হওয়ার জন্য ছটফট করে। কিন্তু সহজে পারে না। আর যারা থাকে তারা হালুয়া রুটির লোভে ইনুর মত পা চেটে থাকে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মাদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান প্রমুখ।