ভাইয়ের হত্যাকারীকে ‘ধরে দিল’ চার বছরের বোন

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বলাৎকারে বাধা দেওয়ায় খুন করা হয় আট বছরের একটি শিশুকে। এ ঘটনায় জড়িত এক রিকশাচালককে ধরতে পুলিশকে পথ দেখিয়েছে নিহতের চার বছরের বোন।

গ্রেফতারের পর শুক্রবার মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে অভিযুক্ত।

নিহত মোহাম্মদ সোহাগ (৮) ভোলার চরফ্যাশনের আবদুল্লাপুর এলাকার ফারুক হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। ঘটনায় জড়িত রিকশাচালক ইমন হোসেন (২০) চরফ্যাশনের নুরাবাদ এলাকার আবদুল করিমের ছেলে। তারা পতেঙ্গায় মাজার গলি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পতেঙ্গা থানার এসআই মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে চেয়ারম্যান গলি এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে সোহাগের লাশ উদ্ধার পরে পুলিশ। নিহতের বাবা রিকশা চালক ও মা পোশাক কর্মী। তারা দিনে বাসায় না থাকার ফলে তাৎক্ষণিক তথ্য দিতে পারছিলেন না। এরপর সোহাগের চার বছর বয়সী বোন লামিয়ার সাথে আমরা কথা বলি। সে জানালো দুপুরে একটি রিকশায় বসে খেলছিল দুই ভাই-বোন। তখন এক লোক সোহাগকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাকে সে চিনে না বলে জানালো। কিছুক্ষণ পর আবার বললো, জড়িত ব্যক্তি মাজার গলির খালপাড় এলাকায় থাকে। তখন তাকে নিয়ে আমরা এক ঘন্টার মধ্যে রাত ৯টায় আসামিকে ধরে ফেলি। মেয়েটি না হলে এত দ্রুত আসামিকে ধরতে পারতাম না।

এসআই মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারের পর ইমন জানিয়েছে, বরই দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সোহাগকে পরিত্যক্ত ওই বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল সে। তখন ৫০ টাকা দেবে জানিয়ে ৮ বছরের সোহাগকে বলাৎকার করতে চেয়েছিল ইমন। শিশুটি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং সবাইকে এ ঘটনা বলে দেবে বলে জানায় তখন। এ সময় ইঁট দিয়ে তার মাথা ও কপালে উপর্যুপরি আঘাত করে ইমন। তখন মাথা থেকে মগজ বের হয়ে যায়। প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে ঘটনাস্থলেই সোহাগের মৃত্যু হয়। পরে রক্ত মাখা লুঙ্গি ও গেঞ্জি ধুয়ে ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে নিজের বাসায় অবস্থান করে ইমন।

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, সোহাগের বোন লামিয়া শুক্রবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। ভাইকে ডেকে নিয়ে যেতে দেখার কথা সে বিচারককে তার মতো করে বলেছে। এ ছাড়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে ইমনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

একুশে/এএ