ঢাকা: জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামার চিন্তা করছে বিএনপি। আজ বুধবার রাতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকাসহ দেশের ১৯টি জেলায় সমাবেশ করার একটি প্রস্তাব ঢাকা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির সূত্র জানায়, দলটির নেতারা মনে করছেন, জঙ্গিবাদ নিয়ে দেশে যে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে বিএনপি মাঠে থাকলে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার পাশাপাশি বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার এবং দলীয় দাবিদাওয়া নিয়েও কথা বলা যাবে। সবমিলে জঙ্গিবাদ ইস্যুতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকতে পারলে দল লাভবান হবে।
ঢাকা মহানগর বিএনপির সূত্র জানায়, ৮ জুলাই মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠকে বরিশাল বাদে সব কটি মহানগর ও কয়েকটি জেলা শহর মিলিয়ে ১৯টি জায়গায় জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশ করার প্রস্তাব আসে। এর মধ্যে ১৩ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে ঢাকায় সমাবেশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মহানগর নেতাদের নেওয়া এই প্রস্তাব সম্প্রতি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লিখিত আকারে দেওয়া হয়েছে। আজকের বৈঠকে এ প্রস্তাবের আলোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
বিএনপির আরেকটি সূত্র জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় যে ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন, তা সরকার আমলে না নিলে বিএনপি নিজেদের মতো করে উদ্যোগ নেওয়ার চিন্তা করছে। এ লক্ষ্যে কাল বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনও আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এর ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ রুখে দিতে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। সরকার এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করছে। তাদের বোধোদয় না হলে জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক শক্তি, গোষ্ঠী, দল সবাইকে নিয়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে এ দেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।