নিজস্ব প্রতিবেদক : খুনের ঘটনা ঘটেছে, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মামলা হবে। কিন্তু ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরেও কোনো মামলা হয়নি! এ সংবাদ প্রকাশ করে ‘একুশে পত্রিকা’। এর পরপরই হাটহাজারী পৌর ছাত্রদল নেতা মো. সোহেল রানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হয় মামলা দায়ের, অত:পর গ্রেফতার। এমন ঘটনায় সচেতন মহলের প্রশ্ন, খুনের মামলা হওয়ার জন্যেও কী সংবাদমধ্যমকে কাজ করতে হবে?
হাটহাজারী থানা ওসি (তদন্ত) জহির একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকেল পাঁচটার দিকে মামলা হয়েছে। নিহত সোহেলের বাবা নুর হোসেন মানিক বাদি হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পরপরই অভিযানে এজহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি শাহেদ (২০)কে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে একইদিন (বুধবার) চারটার দিকে ‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় ‘নাখোশ’ ওসি!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে একুশে পত্রিকা। ওই সময় হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মো. বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনোতো মামলাই হয় নাই, আগে মামলা হোক তারপর প্রশ্ন করেন।’
বিযয়টি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. মশিউদ্দৌলা রেজাকে অবহিত করা হলে তিনি একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা হতে হবে কেন? এটাতো পুলিশের নিয়মিত কাজ। আর ৪৮ ঘণ্টা পরেও মামলা না হওয়ার কারণ কী? ভাই আমি বিষয়টি দেখছি, ওসিকে ফোন দিচ্ছি।’
এর পরপর মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে দায়ের হয় মামলা, পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার হয় এজহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি শাহেদ।
** হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় ‘নাখোশ’ ওসি!
** ‘আধিপত্য বিস্তার’কে কেন্দ্র করে খুন হন ছাত্রদল নেতা সোহেল
একুশে/এএ