জনভোগান্তি সৃষ্টি না করতে বন্দর, সিডিএকে চিঠি দিবে সিটি করপোরেশন

উজ্জ্বল দত্ত : উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে বালি,ইটসহ নানাধরনের নির্মাণসামগ্রীবোঝাই ট্রাক রাস্তায় চলাচল করে। অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই করে চলাচলের কারণে এসব ট্রাক থেকে নির্মাণসামগ্রী রাস্তায় এসে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- অতিরিক্ত বালিবোঝাই করে চলাচলকারী ট্রাক থেকে প্রচুর বালি উড়ে এসে রাস্তায় পড়ে। একই সাথে ইটবোঝাই ট্রাক থেকেও ইটের গুড়া বাতাসে উড়ে বেড়ায়। ট্রাকে পণ্যবোঝাই করে তা ঢাকা দেয়া হয় না বা প্রয়োজনীয় কাভারেজ না থাকার কারণে মূলত এইসব ট্রাক থেকে উড়ে পড়া বালি বা ইটের গুড়া রাস্তায় চলাচলারত সর্বসাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এই জনভোগান্তি লাঘব করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং নগরে নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বিভিন্ন কন্সট্রাকশন প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষকে চিঠি দিয়ে অবগত করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচ্ছন্ন বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত পণ্যবোঝাইকারী এসব ট্রাক থেকে উড়ে আসা বালি,ইটের গুড়া উড়ে এসে রাস্তায় পড়ছে। রাস্তা থেকে তা যাচ্ছে সংলগ্ন ড্রেন বা নালায়। আমাদের নালানর্দমা ভরাট হওয়ার জন্য এটাও একটা নেপথ্য কারণ। পণ্য বোঝাইয়ের সময় অসচেতনতাজনিত কারণে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় কোনো কাভারেজ ব্যবস্থা ব্যবহার না করার জন্য এই জনদুর্ভেোগ সৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ কয়েকটি কন্সট্রাকশন প্রতিষ্ঠানকেও আমরা চিঠি দেব পরিবহনের সময় যাতে পণ্যবোঝাইকৃত ট্রাকগুলোতে প্রয়োজনীয় কাভারেজের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।

সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী মো.সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, চসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন,প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।