‘জাফর ইকবাল নয়, মুক্তিযুদ্ধের ওপর আঘাত হেনেছে হায়েনারা’


নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘ড. জাফর ইকবালকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা করা হয়েছিলো। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। একজন শহীদের সন্তান। এখানে জাফর ইকবাল নয়, মুক্তিযুদ্ধের উপর আঘাত হেনেছে হায়েনারা। এই হামলার মাধ্যমে মূলত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তারা। চট্টগ্রাম থেকে আমরা সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি।’ বলেছেন চট্টগ্রাম পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম।

রোববার (৪ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, চট্টগ্রাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রফেসর ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওরা ধরেই নিয়েছে এ ধরনের হামলা হলে কিছুই হয় না। বীর চট্টলাবাসী হুঁশিয়ার করছি, আর একটি হামলার ঘটনা ঘটলে সারাবাংলায় আগুন জ্বলবে। জঙ্গিবাদকে ভয় পাই না। ধর্মান্ধতাকে ভয় পাই না।’

রঙ বদলাবেন না:
সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের কথা উল্লেখ করে প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে সকল সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করে না তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করেন। প্রশ্ন ফাঁস হয়, এরপরও মন্ত্রী কীভাবে চেয়ারে থাকেন? রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে যারা দৌদুল্যমান অবস্থায় আছেন তাদের বলি, একটি নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে নিন। রঙ বদলাবেন না।’

এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কোনো জঙ্গিবাদী গোস্টি আপনাকে কিছুই করতে পারবে না।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন কাউন্সিলর, নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু বলেন, ‘এভাবে আর কত বক্তৃতা দেব, এভাবে আর নয়। এবার প্রতিরোধ করতে হবে। আমরা কি এভাবে বারেবারে প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করবো? একটি স্বাধীন দেশে আমরা এভাবে চলতে দিতে পারি না।’

সাংবাদিক নেতা এজাজ ইউসুফী এ ঘটনায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ব্যর্থতা আছে বলে দাবি করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেতা অধ্যাপক কানাই দাশ বলেন, ‘এখানে আমরা কেউ নিরাপদ নই। চট্টগ্রামের পাঁচ বিশিষ্ট ব্যাক্তিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।’

শিক্ষক নেতা আবু তৈয়ব চৌধুরী বলেন, ‘সর্ষের ভেতর ভূত আছে কিনা দেখতে হবে। সরকারের ভেতর কোনো সরকার রয়েছে কিনা, সরকারের ভেতর জঙ্গি রয়েছে কিনা তা জানতে হবে।’

সিইউজের সাবেক সভাপতি ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সেকান্দার চৌধুরী, শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি কাজী আবুল মনসুর, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন,নাট্যজন শফিউল আলম বাবু প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

>> ‘বক্তৃতা নয়, এবার প্রতিরোধ’

একুশে/এএ