চট্টগ্রাম : নগরীর ৪১ ওয়ার্ড জুড়ে রাস্তার পাশে বা জনচলাচল সংলগ্ন স্থানে যে সমস্ত ডাস্টবিন রয়েছে সেগুলোকে আস্তে আস্তে অপসারণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন প্রকল্প গ্রহণ করছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে নগরীর সব ডাস্টবিন উঠে যাবে। সেগুলোকে জনআড়ালে স্থাপন করা বলে সিটি মেয়র ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার সকালে চরচাক্তাই সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র এ ঘোষণা দেন।
সিটি মেয়র আরো বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের আগে নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় সাড়ে ১৩ শ’ ডাস্টবিন ছিল। রাস্তার পাশে বা জনচলাচল সংলগ্ন স্থানে থাকার কারণে ডাস্টবিনগুলো নগরীতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টির একটি নেপথ্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার প্রত্যয়ে আমি আস্তে আস্তে সব ডাস্টবিন তুলে ফেলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আর ডাস্টবিনের স্থানে বিউটিফিকেশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। ইতোমধ্যে প্রায় ৮শ’র মতো ডাস্টবিন আমরা অপসারণ করেছি। বর্তমানে নগরীতে আর প্রায় ৫শ’র মতো ডাস্টবিন অবশিষ্ট রয়েছে। এগুলোও ধারাবাহিকভাবে অপসারণ করা হবে।
অপসারিত ডাস্টবিনগুলো জনবিচ্ছিন্ন স্থানে স্থাপন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ হিসেবে আমরা ডাস্টবিনগুলোকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পেোরেশনের জায়গায় স্থাপন করবো। অন্যক্ষেত্রে ডাস্টবিন স্থাপনে সংলগ্ন স্থানে চসিক’র জায়গা না থাকলে সেক্ষেত্রে স্থানীয়দের কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করে সেখানে ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে।
কাউন্সিলর ইয়াসিন চৌধুরীর আছু’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আইনশৃঙ্খলা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি এইচ এম সোহেল, কাউন্সিলর জাফরুল ইসলাম, ফারজানা পারভীন, চসিক যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, মহেশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ দাশ, বাকলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ প্রণব চৌধুরী,বাকলিয়া থানা আওয়ামী লী সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক আলম,হাজী হারুণ প্রমুখ।