ভারতের কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ১শ’ সদস্যসহ আহত হয়েছে আড়াই শতাধিক। রোববার সকালে কাশ্মীরজুড়ে বিক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের একটি গাড়ি নদীতে ফেলে দিলে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়।
চলমান বিক্ষোভ দমনে আধা-সামরিক বাহিনীর ১২শ’ সদস্যকে কাশ্মীরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
কাশ্মীরের কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের ডাকা হরতাল সোমবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রেল যোগাযোগ বন্ধের পাশাপাশি উপত্যকা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শুক্রবার রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধে হিজবুল মুজাহিদীনের কমান্ডার বুরহান মুজাফফর ওয়ানি নিহতের জেরে গত দুইদিন ধরে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ চলছে। কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকায় সান্ধ্য-আইন জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কাশ্মীরিদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রশ্নে নিরপেক্ষ গণভোটের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান।