ফাগুনের রঙ্গিন প্রকৃতি

চট্টগ্রাম : শীতের শেষ ও বসন্ত শুরুর দিকে প্রকৃতি নিজেকে পাল্টে নেয়। এসময় থেকেই গাছে ফুলের মুকুল দেখা দেয়। ধূসর কুয়াশা সরে গিয়ে বাগানজুড়ে খেলা করে সোনারোদ। আর ঋতুরাজের রাজসভায় আগমন ঘটে রঙিন সব ফুলের। এইতো মাত্র ক’দিন আগে প্রকৃতি পেয়েছে বসন্তের ছোঁয়া। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সবাই সাদরে বরণ করেছে ঋতুরাজ বসন্তকে।

সেই খুশিতে গাছের শাখে শাখে ফুটছে হরেক রকম ফুল। নগরীর সিডিএ ভবন চত্বর, বিপ্লব উদ্যান, ওয়ার সিমেট্রি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কসমসসহ নানান ফুল। বন্দরনগরীর অনেক আমগাছেই এসেছে মুকুল। পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া সহ ফাগুনের নানান ফুলের কলিরও দেখা মিলছে। শীতে ঝরে পড়া পাতার ফাঁকা জায়গা পূরণ করতে গাছে গাছে আবার গজাতে শুরু করেছে নতুন পাতা।

তবে শহরে শীতের তীব্রতা কমলেও গ্রামে এখনো বেশ অনুভব হচ্ছে। কর্ণফুলি নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ছে।

চট্টগ্রামের আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের সহকারি আবহাওয়াবিদ মাহবুবুল আলম একুশে প্রত্রিকাকে বলেন, মূলত গত সপ্তাহের শুরু থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে শুরু করেছে। এ সপ্তাহে তা আরো দ্রুতলয়ে হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনে যা আরো বাড়বে।

চট্টগ্রামের আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র সূত্র জানায়, গতকাল (শুক্রবার) চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে (শনিবার) চট্টগ্রামের তাপমাত্রা তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একুশে/এএ