চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
আসামী পক্ষের আইনজীবীদের কারাগারে ডিভিশন প্রদানের অপর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত জেলকোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১১ টায় শুনানী শেষে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মাসুদ পারভেজের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে ভাংচুর, কর্তব্যদানে বাধাদান ও সন্ত্রাস দমন আইনসহ দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ডা. শাহাদাতকে আদালতে হাজির করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এরপর বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনকে আটক করে পুলিশ। রাতভর কোতোয়ালী থানায় অবস্থানের পর শুক্রবার সকালে ডা. শাহাদাতকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা শাহাদাতের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। শতাধিক আইনজীবী জামিন আবেদনের শুনানিতে ডা. শাহাদাতের পক্ষে অংশ নেন।
কারাবন্দী নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) মারুফ জানান, আমার স্যার (শাহাদাত) সবসময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পক্ষে ছিলেন। গতকালও দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলেন। হঠাৎই বিনা উস্কানিতে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বাধা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরপর দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদেরকে সাক্ষাৎকার প্রদানের সময় পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়।
কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় স্যার (শাহাদাত) দলীয় নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন এবং অহিংস আন্দোলন ও আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছেন। যোগ করেন মারুফ।