চট্টগ্রাম: খালেদা জিয়াকে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক এবং লালনপালনকারী বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ। শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক এবং লালনপালনকারী। কারণ তার যে জোট সেই জোটের মধ্যে অনেক ইসলামী নামধারী রাজনৈতিক দল আছে তাদের অনেক নেতা আফগানিস্তানে ট্রেনিংপ্রাপ্ত। তাদের অনেক অনুসারীও আফগানিস্তান ও অন্যান্য জায়গায় ট্রেনিংপ্রাপ্ত।
তিনি বলেন, জঙ্গি ট্রেনিংপ্রাপ্ত নেতাদের এবং জামায়াতকে জোটের মধ্যে রেখে বেগম খালেদা জিয়া যখন জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের কথা বলেন তখন সেটি আসলে লোকদেখানো। তার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার যে অভিযোগ আছে সেই অভিযোগ থেকে বেরিয়ে আসার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন খালেদা জিয়া।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করা এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এই ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অদম্য গতিতে পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সেটি বন্ধ করার জন্যই প্রচেষ্টাগুলো চালানো হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের মাধ্যমে সেটাই প্রমাণ হয়েছে।
জাতীয় ঐক্য চান উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দেশের সব শান্তিকামী মানুষের ঐক্য চাই। যারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে তাদের নিয়ে জাতীয় ঐক্য চাই। যারা জঙ্গিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়না, যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়না আমরা অবশ্যই সেই ধরনের সমস্ত রাজনৈতিক দলের ঐক্য চাই।
তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বিশ্বের চার নম্বর সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই। এছাড়া ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনেও।
হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্রশিবির যদি সন্ত্রাসী সংগঠন হয় তাহলে তাদের মূল সংগঠন জামায়াত ইসলামকেও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। সুতরাং ছাত্রশিবির এবং জামায়াতের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনকে জোটে রেখে জাতীয় ঐক্যের কথা বলা খালেদা জিয়ার নিজেকে লুকানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।