ফেসবুকের নতুন উদ্যোগ

Facebookইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে ইন্টারনেট–সুবিধার আওতায় আনতে নতুন একটি উদ্যোগ নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এটিকে বলা হচ্ছে ‘ওপেন সেলুলার প্ল্যাটফর্ম’। এর আওতায় এমন একটি ডিভাইস তৈরি করা হবে, যার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার হবে ওপেন সোর্স বা উন্মুক্ত। যে–কেউ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধা বাড়াতে উন্মুক্ত যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে জুতার বাক্সের সমান একটি যন্ত্রের ছবি শেয়ার করেছেন। এই যন্ত্রটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক হিসেবে যেকোনো জায়গায় বসানো যাবে।

জাকারবার্গ বলেন, ওপেন সেলুলার হচ্ছে আরও উন্নত, সহজলভ্য সংযোগ–সুবিধা দিয়ে বিশ্বের সব মানুষকে কাছে আনার পরবর্তী ধাপ।

এর আগে ফেসবুক তাদের এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে বিশ্বের কয়েকটি দেশে সমালোচনার শিকার হয়েছে।

বর্তমানে ১৬০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী ফেসবুক ব্যবহার করছেন। আরও নতুন ব্যবহারকারী বাড়াতে ফেসবুক–সুবিধা নেই, এমন অঞ্চলে ইন্টারনেট–সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ফেসবুক। ইতিমধ্যে সৌরশক্তিচালিত ড্রোন থেকে শুরু করে কয়েক ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ফেসবুকের নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলী কাশিফ আলী বলেন, প্রচলিত সেলুলার অবকাঠামো তৈরির বিষয়টি ব্যয়বহুল এবং মোবাইল অপারেটরদের জন্য সবখানে তা নির্মাণ করাও কঠিন। ফেসবুকের উদ্যোগে যে ওপেন সেলুলার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে, তাতে ওপেন সোর্সভিত্তিক হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। এটি টুজি, এলটিই ও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সমর্থন করবে।

ফেসবুকের প্রধান কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে ওপেন সেলুলার হার্ডওয়্যার নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে সফল হওয়ার দাবি করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এই যন্ত্র ব্যবহার করে বার্তা পাঠানো, ভয়েস কল ও ইন্টারনেট সংযোগ–সুবিধা পাওয়া যায়। তথ্যসূত্র: বিবিসি।