ঢাকা: ঈদুল ফিতর ঘিরে অন্য রাজনীতিকদের মতো বিএনপির নেতারাও নানা পরিকল্পনা করছেন। তবে গত কয়েক বছরের মতো এবার ঈদের পরে কোনো আন্দোলনের চিন্তা নেই তাদের। নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর কাজে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অনেকেই এবার রাজধানী ঢাকায় ঈদ করবেন। তবে দলের মধ্যম সারির নেতাদের অনেকেই ঈদে নিজ নিজ এলাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কেউ কেউ ইতিমধ্যে চলেও গেছেন।
এলাকায় ঈদ করবেন এমন নেতাদের ভাষ্য, বছরের বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকলেও ঈদে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটালে তারা উৎসাহ পান। আর দলের পক্ষ থেকেও নেতাদের রমজানে ইফতারের পাশাপাশি ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার নির্দেশনা আছে।
নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা নিজ এলাকায় ঈদ করবেন তাদের কেউ কেউ আবার ঈদ করে ঢাকায় ফিরবেন। কেউ আবার ঈদ ঢাকায় করে ওই দিনই গ্রামে যাবেন। এ ছাড়া বিএনপির বেশ কজন জ্যেষ্ঠ নেতার ঈদ কাটবে বিদেশে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঈদের দিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কূটনীতিক ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে আছেন। এবারও লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে তার ঈদ কাটবে।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে। সেখানেই কাটবে তার ঈদ। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ঈদ হবে ঢাকায়।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাহবুবুর রহমান ঈদ করছেন ঢাকায়। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ তরিকুল ইসলাম নিজ এলাকা যশোরে ঈদ করবেন। আর আ স ম হান্নান শাহ গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ঈদের নামাজ পড়লেও ওই দিন তিনি ঢাকায় ফিরবেন। ড. আবদুল মঈন খান দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ঢাকায় ঈদ করবেন; তবে পরদিন নিজ এলাকা মুন্সীগঞ্জে যাবেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে।
সাদেক হোসেন খোকা চিকিৎসার জন্য বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ঈদ করবেন ঢাকায়। সেলিমা রহমানও ঢাকায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টাদের মধ্যে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বরাবরের মতো চট্টগ্রামে ঈদ করবেন বলে জানিয়েছেন। অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের ঈদ কাটানোর সম্ভাবনা বেশি নিজ এলাকা বরগুনা। আর অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাবেন। তাই এবারের ঈদ সেখানেই করবেন।
যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ঢাকায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন। মজিবুর রহমান সরোয়ার বরিশালে, আসলাম চৌধুরীর ঈদ কাটবে কারাগারে।
সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে নজরুল ইসলাম মঞ্জু খুলনায়, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নাটোরে, আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে, শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামে, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ঢাকায়, সাখাওয়াত হাসান জীবন সিলেটে ঈদ করবেন বলে জানা গেছে। বিলকিস জাহান শিরিন ঈদ করবেন নিজ এলাকা বরিশালে। শামা ওবায়েদ ঢাকায় ঈদ করতে পারেন বলে জানা গেছে। ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল জানিয়েছেন তিনি ঈদ করবেন নিজ এলাকা ফরিদপুরে।
এ ছাড়া বিএনপির মধ্যম সারির অনেক নেতা নিজ নিজ এলাকায় আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ করবেন বলে জানিয়েছেন।