মোটরসাইকেল চলবে পানি দিয়ে। শুনতে একটু কেমন লাগছে তাই না? হ্যা! সত্যিই শুনেছেন মোটরসাইকেল পানিতে চলবে। পানি শুধু প্রানই বাঁচায় না। পানির রয়েছে বহুবিধ ব্যবহার। আর প্রযুক্তি বলতে কোন একটি প্রজাতির বিভিন্ন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপদান প্রয়োগের ব্যবহারিক জ্ঞানকে বোঝায়। নিজের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে প্রজাতিটি কেমন খাপ খাওয়াতে পারছে এবং তাকে কিভাবে ব্যবহার করছে তাও নির্ধারণ করে দেয় প্রযুক্তি। মানব সমাজে প্রযুক্তির ব্যবহার হল বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের একটি আবশ্যিক ফলাফল। অবশ্য অনেক প্রাযুক্তিক উদ্ভাবন থেকেই আবার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের অনেক জ্ঞানের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। মানব সমাজের প্রেক্ষিতে প্রযুক্তির সংজ্ঞায় বলা যায়, “প্রযুক্তি হল কিছু প্রায়োগিক কৌশল যা মানুষ তার প্রতিবেশের উন্নয়নকার্যে ব্যবহার করে।” যেকোন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান সম্বন্ধে জ্ঞান এবং তা দক্ষভাবে ব্যবহারের ক্ষমতারকেও প্রযুক্তি বলা হয়। তাই প্রযুক্তির কৌশল ব্যবহার করে ব্রাজিলের এক নাগরিক যার নাম “রিকার্ডো” তিনি এমন একটি প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন যেটার মাধ্যমে পানি দিয়ে চলবে আপনার মোটরসাইকেল। শুনে একটু অবিশ্বাস্য লাগছে তাই না?
এতোদিন মজা করে বললেও এখন সত্যি সত্যি পানি দিয়ে চলবে আপনার মোটরসাইকেল। কথাটা শুনে অবাক হচ্ছেন? হুম হবারই কথা আমার অবস্থাও আপনাদের মতোনই হয়েছিলো যখন দেখলাম পানি ব্যবহার করে চলছে মোটরসাইকেল। তাও আবার আপনার সাধারণ পানি অর্থাৎ আপনার খাবার পানি।
কিভাবে এটি সম্ভব চলুন দেখে নেই প্রযুক্তিটিঃ
ব্রাজিলের এক নাগরিক যার নাম রিকার্ডো, তিনি নিয়ে এসেছেন অসাধারন এই যুগান্তকারী আবিষ্কার। মোটরসাইকেলটির নাম দেয়া হয়েছে “টি পাওয়ার এইচ ২০” তবে বাইকটি সে নিজে তৈরি করেনি। বাজার থেকে কেনা একটি সাধারন বাইক মোডিফাই করে তৈরি করা হয়েছে এই পানিতে চলার নতুন মেশিনটিকে। বাইকটি কম্বাস্টিং ব্যাটারি এবং পানি শক্তি ব্যবহার করে চলবে। যেটি বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করতে ইঞ্জিনটিকে সাহায্য করবে। আরও মজার বিষয় হচ্ছে রিকোর্ডোর তৈরি করা নতুন এই বাইকটি ১ লিটার পানি ব্যবহার করে প্রায় ৩১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আর সবথেকে অবাক করা বিষয় হচ্ছে আপনি যেকোনো ধরনের পানি ব্যবহার করে কাজটি করতে পারেন। যেমন, নদীর পানি, খালের পানি বা টিউবয়েলের পানি ইত্যাদি।
আমরা অনেক আশাবাদী কারন প্রযুক্তিটি সৌভাগ্যবশত ব্রাজিলে আবিষ্কৃত হয়েছে। যার দরুন আমারা এটি আশা করতেই পারি যে, অচিরেই নতুন এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের বাইক উৎপাদন করবে এবং আমরা পানিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে আমাদের বাইক তথা অন্যান্য যানবাহন চালাতে পারবো। আপনার কাছে আমাদের প্রশ্ন আপনি কি মনে করেন, এটি কি আদও বাস্তবে সম্ভব? নাকি শুধুমাত্র ইউটিউবে একটি ভিডিও হয়েই সীমাবদ্ধ থাকবে? আপনার মতামত আমাদের জানাতে পারেন্ট কমেন্টস করে। ধন্যবাদ।