চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকেরা জানান, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে শেখ হাসিনা হলের সামনে কয়েকজন ছাত্র হলের ভেতরে থাকা ম্যুরাল ও নৌকা প্রতীক ভাঙার চেষ্টা করে। এসময় ছাত্রীরা বাধা দিলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে গেলে ছাত্রীরা তাদের ছবি ও ভিডিও করতে বাধা দেন। এ সময় ছাত্রীরা সাংবাদিকদের গালিগালাজ, হেনস্তা করেন এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি কয়েকজন সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয়।
মানববন্ধনে চবিসাসের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামানের সঞ্চালনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও চবিসাসের নেতারা বক্তব্য রাখেন। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
ঢাকা মেইলের ক্যাম্পাস প্রতিবেদক রেদ্ওয়ান আহমদ বলেন, ‘আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ছাত্রীরা আমাদের বাধা দেয়, হেনস্তা করে, এমনকি গায়ে হাত তোলে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
আরেক ভুক্তভোগী সাংবাদিক আকিজ মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্রীরা আমাদের ওপর চড়াও হয়ে হামলা করেছে। এটা ন্যাক্কারজনক। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’
নারী সাংবাদিক অনিন্দিতা সরকার প্রথা বলেন, ‘সাংবাদিকদের ক্যামেরা অফ করার বা ছবি তোলার জন্য অর্ডার দেওয়ার অধিকার কারও নেই। শেখ হাসিনা হলের মেয়েরা সাংবাদিকদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তা কাম্য নয়।’
চবিসাসের নেতারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু এখন সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হেনস্তার ঘটনা ঘটছে। তারা দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।
চবিসাস সভাপতি মোহাম্মদ আজহার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। হলগুলোতে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো রয়ে গেছে। প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’