চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সংস্কৃত বিভাগে নিয়ম বহির্ভূতভাবে দুইজন অস্থায়ী শিক্ষককে স্থায়ী করার তোড়জোড় চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ লক্ষ্যে ভাইভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি হিমেল কর্মকার ও পবিত্র কুমার হীরা নামের দুই শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়।
২০১৯ সালে সংস্কৃত বিভাগের স্থায়ী শিক্ষক কুশল বরন চক্রবর্তী ও রীতা রানী ধর শিক্ষাছুটিতে গেলে তাদের স্থলে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পান হিমেল কর্মকার ও পবিত্র কুমার হীরা। পরবর্তীতে স্থায়ী শিক্ষকরা ফিরে আসলেও এই দুইজন এখনও বিভাগে রয়েছেন।
বিভাগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তাদের নিয়োগ ছিল শুধুমাত্র শিক্ষাছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে। নিয়ম অনুযায়ী শূন্য পদে স্থায়ী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সংস্কৃত বিভাগের বর্তমান সভাপতি বিধিমালার ফাঁক ব্যবহার করে তাদের চাকরি স্থায়ী করার চেষ্টা করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কোনো শিক্ষক স্থায়ী হতে পারেন না। চবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামও গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, অস্থায়ী বা খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা সংশোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বিষয়ে চবি সংস্কৃত বিভাগের সভাপতি ড. লিটন মিত্র গণমাধ্যমকে বলেন, “ছুটি জনিত কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা অনুযায়ী দুজনকে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিধিমালার বাইরে গিয়ে কিছু করা হয়নি। একইভাবে অন্যান্য বিভাগেও বিভিন্ন সময়ে অনেক শিক্ষক চাকরি স্থায়ীকরণের সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।”