সাতকানিয়ায় চার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, দুই গৃহবধূ আহত


দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নে রোববার দিবাগত রাতে চার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদের হামলায় দুই গৃহবধূ আহত হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর হাতিয়ারকুল কুদ্দুস সওদাগর বাড়ি এলাকায় রাত পৌঁনে তিনটার দিকে। আহতরা হলেন সৌদি প্রবাসী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বেবী আক্তার এবং মৃত খায়ের আহমেদের স্ত্রী খতিজা আক্তার। বেবী আক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং খতিজা আক্তারকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল কাদের চৌধুরী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের ভাষ্যমতে, মুখোশ ও হাফপ্যান্ট পরিহিত ২৫-৩০ জনের একদল অস্ত্রধারী ডাকাত প্রথমে আব্দুল জব্বারের বসতঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৩০ হাজার টাকা, এক ভরি স্বর্ণালংকার, দেড় হাজার সৌদি রিয়াল, ৫টি মোবাইল ফোন সেট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটে নেয়।

এরপর ডাকাতরা একই কায়দায় পার্শ্ববর্তী মৃত খায়ের আহমদ, নুর আহমদ ও মৃত আলী আহমদের ঘরে হানা দেয়। সেখান থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, প্রায় তিন ভরি স্বর্ণালংকার, প্রায় এক লাখ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ মোট ছয় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

বেবী আক্তার জানান, ডাকাতরা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তাকে ও পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। টাকা ও স্বর্ণালংকার দিতে দেরি করায় তাকে লোহার খুন্তি দিয়ে মারধর করা হয়। তার কানের দুল ও শরীরের অন্যান্য স্বর্ণালংকার, আলমারিতে থাকা প্রায় ৫০ হাজার টাকা এবং নতুন কেনা একটি মোবাইল ফোন লুটে নেয় ডাকাতরা। কানের দুল নেয়ার সময় তার ডান কানের লতি পুরো এবং বাম কানের লতির প্রায় অংশ ছিঁড়ে যায়।

নুর আহমদের ছেলে মো. জাফর আলম জানান, তার স্ত্রী নাজমা আক্তার তাকে মোবাইল ফোনে ঘরে ডাকাত প্রবেশের খবর জানান। টাকা ও মোবাইল ফোন দিতে দেরি করায় ডাকাতরা তার বড় মেয়েকে পা দিয়ে চেপে ধরে এবং ছোট ছেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে।

সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল মুন্নাফ জানান, ডাকাতির ঘটনাটি তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রথম শুনেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।