অবশেষে ফটিকছড়ি পৌরসভার উত্তর ধুরুং গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের অবসান হতে চলেছে। বহু বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা খালের পূর্ব-পাড়ের রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ২ কোটি ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর আজ সোমবার এই অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে। ফলে শীঘ্রই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এই সুখবরটি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ফটিকছড়ি পৌরসভার প্রশাসক মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি জানান, “আজ সোমবার সড়কটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইঞ্জিনিয়ারকে ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। রাস্তাটি কুয়েত প্রকল্পের অধীনে দুটি টয়লেটসহ একটি প্যাকেজের আওতায় অনুমোদিত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই টেন্ডার আহ্বান করা হবে এবং মাস দেড়েকের মধ্যেই উন্নয়ন কাজ শুরু হয়ে যাবে।”
দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে অত্যন্ত করুণ অবস্থায় ছিল। বিশেষ করে বর্ষাকালে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ত। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তাদের সেই দাবি পূরণ হচ্ছিল না।
অবশেষে, ২ ফেব্রুয়ারি একুশে পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে “বর্ষায় মরণফাঁদ, শুষ্ক মৌসুমে ধুলোর ঝড়: ফটিকছড়ির রাস্তার করুণ দশা“ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের পরেই টনক নড়ে প্রশাসনের। ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে, রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে আজ সোমবার এলাকাবাসী মানববন্ধনও করেন। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিবিরহাট বাসস্টেশনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীকে রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দেন।
রাস্তা সংস্কার ও উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক আজিজুল হক মামুনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আবদুস সাত্তার, সাংবাদিক সৈয়দ মো. মাসুদ, ব্যবসায়ী সেলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহজাহান, মহিন উদ্দিন, জোবায়ের হোসেন বাবু, তারেকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, আবু তালেব এবং আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, খুব শীঘ্রই রাস্তাটির কাজ শুরু হয়ে তাদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান হবে।