দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার উত্তর ধুরুং গ্রামের খালের পূর্ব পাড়ের সেই সড়কটি অবশেষে সংস্কার হতে যাচ্ছে। ২ ফেব্রুয়ারি একুশে পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ‘বর্ষায় মরণফাঁদ, শুষ্ক মৌসুমে ধুলোর ঝড়; ফটিকছড়ির রাস্তার করুণ দশা‘ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রশাসনের। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই রাস্তার ব্যাপারে কাল সোমবার ইঞ্জিনিয়ারকে ঢাকা পাঠাচ্ছি। রাস্তাটি কুয়েত প্রকল্পে দাখিল করা আছে, ২টি টয়লেটসহ এক প্যাকেজে অনুমোদন হবে কুয়েত প্রকল্প থেকে। এতে কিছু অংশে ব্লক বসানো আছে, প্রাক্কলনে কন্সালটেন্টের পরামর্শ অনুযায়ী ব্লক অংশে আরসিসি ধরা হয়েছে, এগুলো পরিবর্তন করে দিতে হবে। রাস্তাটি বিসি সড়ক হিসেবে ডিপিপি হয়েছে, আশা করি প্রাক্কলন সংশোধনের পর হয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, ফটিকছড়ি সদর থেকে কাঞ্চননগর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের লোকজন যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় ছিল। বিশেষ করে বর্ষায় সড়কে চলাচল একেবারেই দুরূহ হয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহালেও ইতিপূর্বে রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরা কেবল আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন, কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
অবশেষে, একুশে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এবং এলাকাবাসীর মানববন্ধন কর্মসূচির প্রেক্ষিতে প্রশাসন এই সড়ক সংস্কারে তৎপর হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিবিরহাট বাস স্টেশনে এলাকাবাসীর মানববন্ধন করার কথা ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, ‘বহুবার কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানালেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এবার বুঝি প্রশাসনের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।’
ফটিকছড়ি পৌরসভা বিএনপি নেতা আবদুল মাবুদ মুন্সি বলেন, ‘দ্রুত এই রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করা হোক। যাতে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হয়। উদ্যোগ নেওয়ায় ধন্যবাদ।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ফটিকছড়ি পৌরসভার প্রশাসক মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘একুশে পত্রিকা বিষয়টি দেখিয়ে দেওয়ায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
একুশে পত্রিকার সংবাদে এবং এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে ফটিকছড়ির এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হতে যাওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।