প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, “সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত হলো মাইজভান্ডার দরবার শরীফ। এখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। ধর্মে-কর্মে নেই কোনো বিভেদ। প্রতিদিনই সকল ধর্মের মিলনমেলা বসে এখানে। এই অভূতপূর্ব সম্প্রীতি আর কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই।”
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ব্যক্তিগত সফরে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার দরবার শরীফে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রধান বিচারপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “ইতিপূর্বে দেশে ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনার পরও ফটিকছড়ি শান্ত ছিল শুনে আমি মুগ্ধ হলাম। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকা এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক থাকাটা রাষ্ট্রের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক।” এজন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় সড়কপথে প্রধান বিচারপতি মাইজভান্ডার দরবারে এসে পৌঁছান। সেখানে স্বপরিবারে মাইজভান্ডারী তরিকার প্রবর্তক সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী, সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী, সৈয়দ আবুল বশর মাইজভান্ডারী, সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী, সৈয়দ মঈনুদ্দিন আল হাসানীর মাজার শরীফ জিয়ারত করেন। দুপুরে স্বপরিবারে সেখানে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
এসময় সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী, সৈয়দ শহিদুল হক মাইজভান্ডারী, সৈয়দ হাসান মাইজভান্ডারী, সৈয়দ সাইফুদ্দিন মাইজভান্ডারী, সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী, সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ মাইজভান্ডারী, এডভোকেট সৈয়দ মিফতাহ নুর মাইজভান্ডারী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিচারপতির সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আজিজ আহমেদ ভূঞা, চট্টগ্রাম জেলার জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজ সহ অন্যান্যরা। দুপুর দেড়টায় প্রধান বিচারপতি স্বপরিবারে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার ছেড়ে যান।