গাজায় মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা ৬৪ হাজারের বেশি : ল্যানসেটের প্রতিবেদন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা যা দেখানো হচ্ছে প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি বলে জানিয়েছে দ্য ল্যানসেটের গবেষণা প্রতিবেদন। বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ৬৪ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে— যা বহুল প্রচারিত মৃত্যুর সংখ্যা থেকে ৪১ শতাংশ কম। গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত একটি প্রধান গবেষণায় এ তথ্য দেয়া হয়েছে। খবর পলিটিকো।

লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকরা ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুন মাসের শেষ পর্যন্ত গাজায় আঘাতজনিত মৃত্যুর সংখ্যা পরিমাপ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, ৬৪ হাজার ২৬০টি মৃত্যুর (৫৯ শতাংশ) বেশিরভাগই নারী, শিশু এবং প্রবীণ ছিলেন।

গবেষকরা বলেছেন, মোট মৃত্যুর সংখ্যা আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ এই পরিসংখ্যানে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়া, খাদ্য সংকট এবং অপ্রতুল পানি ও স্যানিটেশন থেকে সৃষ্ট অ-আঘাতজনিত মৃত্যুর সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত নয়।

গবেষকরা মর্গের রেকর্ড, একটি অনলাইন জরিপ এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত শোকবার্তা বিশ্লেষণ করে সংখ্যার এই অনুমান করেছেন।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি পরিসংখ্যান মৃত্যু সংখ্যার একটি সঠিক ন্যূনতম ধারণা দিলেও সেগুলো এখনো অপর্যাপ্ত। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গাজা কর্মকর্তারা ৩৭ হাজার ৮৭৭টি মৃত্যুর সংখ্যা হিসাব করেছিলেন।

এ ব্যাপারে পলিটিকো ইসরায়েলি সরকারের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য যোগাযোগ করেছে।

এই পরিসংখ্যান এমন সময় এসেছে যখন অনেক বেশি সংখ্যক আইন বিশেষজ্ঞ এবং এনজিও গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত মাসে বলেছিল, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনিদের পানি বন্ধ করে দিয়েছে, যা পানিশূন্যতা ও রোগে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গত নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় মানবতা বিরোধী অপরাধে সহযোগিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।