আনোয়ারায় ইকোনমিক জোনের লোহা নিয়ে এত উত্তেজনা কেন?


আনোয়ারা প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চায়না ইকোনমিক জোনের লোহা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাত দেখা দিয়েছে। পরে সেনাবাহিনী মালামাল জব্দ করে থানা পুলিশে প্রেরণ করে। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের সন্ধিতে ঘটনার সমাধান হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের চায়না ইকোনমিক জোনের গেটে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চায়না ইকোনমিক জোন থেকে ইস্পাত ও লোহা নিয়ে একটি ট্রাক গেট থেকে বের হলে স্থানীয় একটি গ্রুপ ট্রাকটি আটকে দেয়। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং মালামালসহ ট্রাকটি থানা পুলিশের কাছে প্রেরণ করে।

পরবর্তীতে চায়না ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ মালামালের ক্রেতা স্থানীয় বিএনপি নেতা আবদুল গফুর ও স্থানীয় যে গ্রুপটি বাধা দিয়েছিল তাদের সাথে একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী, তারা মালামালের লভ্যাংশ ভাগাভাগি করবে।

আব্দুল গফুর বলেন, “চায়না ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ থেকে মালামালগুলো আমি কিনেছি। স্থানীয় কয়েকজন না বুঝে বাধা দিয়েছে। পরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ইকবাল হায়দার বিষয়টি থানায় সমাধান করেছেন।”

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হায়দার বলেন, “আমি একজন ল্যান্ড ব্যবসায়ী। আমি এসব গ্রুপিংয়ে নাই। পার্টি করি বলে, কেউ বিপদে পড়লে থানায় একটু তদবির করি।”

চায়না ইকোনমিক জোনের প্রতিনিধি ও কর্ণফুলী টানেলের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহেদুজ্জামান বলেন, “ওই মালামালগুলো ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় এক ঠিকাদারের নিকট বিক্রি করে। মালামালগুলো লোড করার সময় স্থানীয় একটি গ্রুপ বাধা দেয়। পরে তারা দুই গ্রুপ লভ্যাংশ ভাগাভাগি করার চুক্তিতে মালামালগুলো নিয়ে যায়।”

আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, “আমরা কাগজপত্র দেখে ট্রাকসহ মালামাল ইকোনমিক জোনে ফিরিয়ে দিয়েছি।”