এম মোয়াজ্জেম হোসেন, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : জীবন-জীবিকার তাগিদে ও ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ওমানে যাওয়ার দুই বছর তিন মাসের মাথায় লাশ হয়ে ফিরলেন ওমান প্রবাসী রাঙ্গুনিয়ার মোহাম্মদ নুরুল আলম পেয়ারু (৩৯)। তিনি উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আবিদ পাড়া এলাকার বাসিন্দা আলী আহমদের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসী পেয়ারু দীর্ঘদিন দুবাইয়ে ছিলেন। পরে গত দুই বছর পূর্বে সেখান থেকে দেশে চলে এলে পরবর্তীতে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তিনি ফের পাড়ি জমান অন্য আরেকটি দেশে। আর সেই দেশ ওমানে যাওয়ার দুই বছর তিন মাসের মাথায় দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ৮ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে তার লাশ দেশে আসে।
নিহত পেয়ারুর ছোট ভাই মো. সোহেল জানান, বড়ভাই গত দুই মাস আগে ভিসা লাগিয়েছেন এবং কিছু দিনের মধ্যে ওনার দেশে আসার কথা ছিল। তিনি দেশে আসার উদ্দেশ্যে পরিবারের জন্য বিভিন্ন বাজার সদাইও করা শুরু করেছিলেন, কিন্তু দেশে আসার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না, তার আগেই তিনি দুর্ঘটনায় মারা যান। ঘটনার ৮ দিন পর আজ সকালের দিকে ওনার লাশ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসে।
দুপুরের দিকে ভাইয়ার লাশ গ্রামে চলে আসতে পারে। আর বিকেলের দিকে স্থানীয় মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ওমানের বারকা শহরের নাখাল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ওমান প্রবাসী মো. সফিউল আলম জানান, ওমান সময় সকাল ৮টা থেকে ৯টার দিকে, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে পেয়ারুর মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছিলেন। তিনি তাদের পার্শ্ববর্তী শহরেই থাকতেন।
নিহতের ছেলে মো. সিফাত জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন দুবাইতে ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি ওমানে যান। গত বুধবার সকালে বাবার সাথে কাজ করা এক ব্যক্তি ফোনে তাকে এই মৃত্যুর খবর দেন।
তিনি আরও জানান, কেউ বলছেন নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সময় ওপর থেকে কাঠের তক্তা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। আবার কেউ বলছেন বিল্ডিংয়ের ওপর থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত পেয়ারুর এক স্ত্রী, দুই ছেলে (একজনের বয়স ১৭ ও অন্যজনের বয়স ১১ বছর) এবং এক মেয়ে রয়েছে।