ইজতেমার ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে যা জানালেন হাসনাত আবদুল্লাহ


একুশে ডেস্ক : ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাকে “অনাকাঙ্ক্ষিত” হিসাবে উল্লেখ করে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি লিখেছেন, “সাদপন্থী সমর্থিত ‘সচেতন ছাত্র সমাজের’ দেয়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি এবং সকাল দশটার মধ্যে মাওলানা সাদ সাহেবের ভিসার জন্য বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণার কারণে” তারা গতকাল রাতে সাদপন্থীদের সাথে আলোচনা করার জন্য টঙ্গী গিয়েছিলেন।

আবদুল্লাহ’র বর্ণনা অনুযায়ী, আলোচনার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন সাদপন্থীরা এবং সাদপন্থীদেরকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়।

তিনি বলেন, “মাওলানা সাদ সাহেবের ভিসা জটিলতা নিরসনে পুনরায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তারা টঙ্গী ময়দানে জোরের শর্ত দেন এবং ২৫ তারিখ মাঠ ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দেন।”

“টঙ্গীতে এই তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় আমরা এটাও স্পষ্ট করি এগুলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। এ বিষয়ে কাকরাইলে মাওলানা জুবায়ের সাহেব এবং ওলামায়ে কেরামের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে,” তিনি যোগ করেন।

এই আলোচনার সময় মাওলানা মাহফুজুল হক ও মাওলানা মামুনুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

মধ্যরাতে “সেখানে পৌঁছানোর পর সাদপন্থীদের একজন মুফতি সাহেবের একটি পোস্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়, যেখানে খণ্ডিত ভিডিও প্রচার করে বলা হয়েছে আমরা নাকি তাদের জোর করার অনুমতি দিয়েছি। এটি আমাদের সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিপরীত,” বলেন মি. আবদুল্লাহ।

“কাকরাইলে আলোচনাকালীন সেখানে আলেমদের উপস্থিতিতে আমরা তাদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছি যে আমরা কোনও কর্তৃপক্ষ নই। আমরা আলোচনা করে কাকরাইল থেকে টঙ্গী গিয়ে কথা বলব এবং এরপর পারস্পরিক মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। আলোচনার মাঝেও সাদপন্থী ঐ মুফতি সাহেবকে ফোন দিয়ে বলেছি, আপনারা যদি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগে ইজতেমার ময়দানে প্রবেশ করেন, তাহলে আমাদের সাথে আপনাদের সম্পর্ক থাকবে না।”

“আমরা কাকরাইলে আলেমদের উপস্থিতিতে সাদ পন্থীদের আরও বলেছি, কোনোভাবেই আপনারা ময়দানে প্রবেশ করবেন না এবং আমাদের নিয়ে যে ভিডিও প্রচার করেছেন, তা মুছে ফেলবেন। কিন্তু এর আগেই এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।”

সবশেষে তিনি সবাইকে শান্ত থাকার জন্য ও ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানান।

এদিকে গতকালকের ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

এই ধরনের আচরণ তাবলীগের স্পিরিটের সাথে যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা যদি কোনও গ্রুপের সর্বোচ্চ নেতাও হয়, তার বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।”