বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষে নিহত ৩


ঢাকা : ময়দান দখল কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে থেমে থেমে চলেছে সংঘর্ষ। এতে তিনজন নিহত ও শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। সকাল ৮টায় পুরো ময়দান সেনাবাহিনী ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ময়দানের ভেতর থেকে বেশ কয়েকজন জুবায়ের অনুসারীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাদ অনুসারীরা।

বুধবার সকাল ৮টায় টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে জিএমপির কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ময়দানে প্রবেশ করেন। তারা ময়দানে ঢুকে টিনশেড মসজিদে আটকাপড়া বেশ কয়েকজন জুবায়েরপন্থিকে উদ্ধার করে।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের মৃত ওসমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম বাচ্চু (৭০)। ঢাকার দক্ষিণ খানের বেরাইদ এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০), আরেকজন হলেন বগুড়া জেলার তাজুল ইসলাম (৭০)।

আহতদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, খোরশেদ আলম (৫০), বেলাল (৩৪) কেরানীগঞ্জ, আনোয়ার (৫০) নারায়ণগঞ্জ, আবু বক্কর (৫৯) নারায়ণগঞ্জ, আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬) সাভার, আনোয়ার (৭৬) নোয়াখালী সদর, ফোরকান আহমেদ (৩৫) সাতক্ষীরা, আ. রউফ (৫৫) বি বাড়িয়া, মজিবুর রহমান (৫৮) ময়মনসিংহ, আ. হান্নান (৬০) গাজীপুর, ঢাকা মেডিকেল, জহুরুল ইসলাম (৩৮) টঙ্গী, আরিফ (৩৪) গোপালগঞ্জ, ফয়সাল (২৮) সাভার, তরিকুল (৪২) নরসিংদী, সাহেদ (৪৪) চট্টগ্রাম, উকিল মিয়া (৫৮) নরসিংদী,

পান্ত (৫৫) টঙ্গী, খোরশেদ আলম (৫০), বেলাল (৩৪) কেরানীগঞ্জ, আনোয়ার (৫০) নারায়ণগঞ্জ, আবু বক্কর (৫৯) নারায়ণগঞ্জ, আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬) সাভার, আনোয়ার (৭৬) নোয়াখালী সদর, ফোরকান আহমেদ (৩৫) সাতক্ষীরা, নুর আলম (৫০) খুলনা সদর, নুরুল হাকিম (৩০), শাহজাহান (৪৫) কিশোরগঞ্জ সদর, আব্দুর রউফ ৫৫) বি-বাড়িয়া, মজিবুর রহমান (৫৮) তারাকান্দা ময়মনসিংহ, মো: হান্নান (৬০)। হতাহতদের ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত সোয়া ৩টার দিকে সাদপন্থিরা তুরাগ নদীর পশ্চিমতীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় ময়দানের ভেতর থেকে জুবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। জবাবে সাদপন্থিরাও পালটা হামলা চালান। একপর্যাায়ে সাদপন্থিরা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ফলে হতাহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। সংঘর্ষকালে সিডিএল ভবনের সামনে মুসল্লিবাহী বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।