বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ২০ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগে ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলায় আরও ১৫০/২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন কালীপুর ইউনিয়নের পালেগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মাওলানা মো. এয়াছিন (৪৮)। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে বাঁশখালী থানার ওসিকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন কালীপুর ইউনিয়নের পালেগ্রাম এলাকার আজগর আলী (৫০), আবদুল কাদের (৬০), রুবেল (২২), মো. আলম (২৪), আনোয়ার (২৬), আবদুল মুবিন (৪০), জমির উদ্দিন (২৮), আলী আকবর (৫৫), মো. ফারুক (৩২), রুবেল (২৩), দলিল আহমদ (৫০), আলী হোসেন (৬০), আবুল কাশেম (৪০), সেলিম (২৮), আনোয়ার ইসলাম (৬৫), আবদুল মান্নান (৬০), আজি আহমদ (৬৭), শমশু (২৮), জামাল (৫০), ফোরকান (৫৮), নুরুল ইসলাম (৪০), আনিছ (২৩), আলী হোসেন (৩৫), ফরিদ আহমদ (৬৫), আবুল কালাম (৫৫), জাকের আহমদ (৫৭), আক্তার হোসেন (৫০), খোরশেদ (২৭) ও ফোরকান (৫৫) প্রমুখ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু বাহিনী তৈরি করে এলাকার নিরীহ মানুষের দলিল ও খতিয়ানভুক্ত জায়গা জবরদখল এবং সরকারি পাহাড়-বনভূমি দখল করে আসছে।
গত ৯ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত পালেগ্রাম এলাকায় মো. এয়াছিনের মালিকানাধীন জায়গায় ফলজ গাছ কেটে লুটপাট চালায় আসামিরা। তারা দা, করাত ও কুড়াল দিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের গাছ কেটে ট্রাকে করে লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ সময় তারা পার্শ্ববর্তী সরকারি কবরস্থানের দেয়াল ভেঙে ফেলে।
মো. এয়াছিন জানান, ‘আসামিরা আমার দখলীয় জায়গায় বহু বছরের পুরোনো প্রায় ৪০টি লিচু গাছ, ১০টি বড় আম গাছ, ২০টি একাশি গাছ, ৬০টি গামারি গাছ, ৪০টি মেহগনি গাছ ও ১০টি গর্জন গাছ কেটে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকা।’
বাদীর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ‘বেআইনিভাবে গাছ কাটার অভিযোগে ২০২৩ সালের ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
বাঁশখালী থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ‘মামলা সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র এখনো আমার কাছে আসেনি।’