সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

আজ বাঁশখালী হানাদার মুক্ত দিবস

প্রকাশিতঃ ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২:৩০ অপরাহ্ন


বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালের এই দিনে, ১২ ডিসেম্বর, চট্টগ্রামের বাঁশখালী পাক হানাদার মুক্ত হয়। চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ৪ দিন আগে বাঁশখালীতে পাক-হানাদারদের রুখে দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিকামী জনতা।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, বাঁশখালীতে চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। এই চারটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী ছৈয়দ ও সাবেক সাংসদ সুলতান উল কবির চৌধুরী, শফিকুর রহমান, ডা. আবু ইউসুফ চৌধুরী এবং ছমিউদ্দিন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম জেলার সহ-কমান্ডার (অর্থ) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের চারটি গ্রুপ একত্রিত হয়ে রাজাকারদের ঘাঁটি ওয়াপদা বিল্ডিং-এ আক্রমণ শুরু করে। দুইদিন যুদ্ধের পর ১২ ডিসেম্বর সকালে ৭৫ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। এরপর ওয়াপদা বিল্ডিং-এ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।’

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৯ মে পাক হানাদার বাহিনী বাঁশখালীতে প্রথম অভিযান চালায় এবং নিরীহ মানুষদের উপর অত্যাচার চালায়। বাঁশখালীর বিভিন্ন গ্রামে ৯০ জন নারী-পুরুষকে হত্যা করা হয়।

নিজ এলাকা ও দেশের বিভিন্ন রণাঙ্গণে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন বাঁশখালীর আরও ১০ জন বীর সেনানী। কালীপুর ইউনিয়নের ১৮ জনকে হাত-পা বেঁধে আধমরা অবস্থায় বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের দক্ষিণ পাশে গর্তে ফেলে হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়া হয়। এই বধ্যভূমিতে একটি গণসমাধি স্থাপন করা হয়েছে।

বাণীগ্রামে নিহত ২২ জনকে রাতের অন্ধকারে বাণীগ্রাম মধ্যপাড়া পুকুর পাড়ে সমাহিত করা হয়। পরে এই শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।

সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম সালাহ্উদ্দীন কামাল বলেন, ‘বধ্যভূমি ২টি সংরক্ষণে আমি জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে।’