এসএম রহমান, দক্ষিণ চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু (শাহ আমানত সেতু) পার হতে গিয়ে যানজটে নাকাল হচ্ছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীরা।
সেতুটি উদ্বোধনের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আধুনিক পদ্ধতিতে টোল আদায় এবং ওজন পরিমাপক যন্ত্র চালু না হওয়ায় এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
প্রতিদিনই টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার এবং ঈদ-পূজার মতো উৎসবের সময় এই যানজট চরম আকার ধারণ করে।
সেতুর উভয় প্রান্তে ওজন পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন না করায় অতিরিক্ত লোড নিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। এতে সেতুটি ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
২০১০ সালে ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি উদ্বোধনের সময় স্বয়ংক্রিয় টোল আদায় ব্যবস্থা চালু করা হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ ১৪ বছরেও আর তা চালু হয়নি।
সেতুর চট্টগ্রাম প্রান্তে ওজন পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করা হলেও তা এখনো চালু করা হয়নি। ফলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মালবাহী যানবাহন অতিরিক্ত পণ্য বহন করে সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকায় ২০১৪ সালে স্থাপিত ওজন পরিমাপক স্টেশনটি উদ্বোধনের পরপরই বিকল হয়ে যায়।
সেতু এলাকায় নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। সেতু নির্মাণের বছরই পিয়ার থেকে মূল্যবান যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ আছে।
তবে সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সড়ক ও জনপদ চট্টগ্রাম জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, “সেতুর নগর প্রান্তে স্থাপিত ওজন পরিমাপক যন্ত্র চালু করার পাশাপাশি যানবাহন পারাপারের টোল আদায়ের জন্য আরও একটি নতুন বুথ স্থাপন করা হবে।”
সেতু পারাপারে টোল আদায়ে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।