এম মোয়াজ্জেম হোসেন, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : কর্ণফুলীর তীরে অবস্থিত চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল ১১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। ১৯০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতাল পার্বত্য চট্টগ্রামসহ আশেপাশের এলাকার মানুষের জন্য মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে।
এই উপলক্ষে শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে হাসপাতাল চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে, বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে র্যালিটি চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার, লিচুবাগান এবং কুষ্ঠ হাসপাতাল এলাকা প্রদক্ষিণ করে হাসপাতাল চত্বরে এসে শেষ হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রবীর খিয়াং র্যালির উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, “এই হাসপাতালটি ১১৭ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অতিক্রম করে ১১৮ বছরে পদার্পণ করেছে। বিগত বছরের চেয়ে সামনে আরও চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান রাখব বলে আমরা আশা করি।” তিনি হাসপাতালের প্রাক্তন সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হাসপাতালের কম্প্রিহেনসিভ কমিউনিটি হেলথ প্রোগামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার বিজয় মারমা।
প্রসঙ্গত, চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে। খ্রীষ্টিয়ান মিশনারিদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হলেও, এই হাসপাতাল সকলের জন্য উন্মুক্ত।
সমতল ও পাহাড়ের মানুষ, বাঙালি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী– সকলেই এখানে সেবা পেয়ে থাকেন। হাসপাতালটিতে দক্ষ দেশি ডাক্তারদের পাশাপাশি বিদেশি ডাক্তার ও নার্সরাও সেবা প্রদান করেন।
এছাড়াও, দরিদ্র রোগীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে প্রসূতি রোগীদের কাছে এই হাসপাতালটি বেশ জনপ্রিয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালি ছাড়াও বিকেলে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।