শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার আহ্বান চবি উপাচার্যের

প্রকাশিতঃ ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮:৫৩ অপরাহ্ন


চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করে সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করেছিল। বর্তমানে সেটা কিছুটা শিথিল হলেও, বর্তমান সাংবাদিকদের মধ্যে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং সিরিজ সাংবাদিকতা দেখতে না পেয়ে আমি হতাশ।”

তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের রিপোর্ট না হওয়ার কারণে সমাজে অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন ইত্যাদি বেড়েই চলছে।”

উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে উচ্চ পদে অসীন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চবি ওয়েবসাইটে তাদের প্রকাশনাসহ অ্যাকাডেমিক তথ্য সংযুক্ত করার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

এছাড়াও তিনি গণমাধ্যম সংস্কার কমিটিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংস্কার কমিটি গঠন করায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন নামে একটি কমিটি গঠনের দাবি জানান।

চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “চবি সাংবাদিকরা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার মূল স্রোতে অবদান রেখে চলছে।” তিনি আরও বলেন, “বিগত সরকারের আমলে সাংবাদিকদের চাপ প্রয়োগ করে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।”

চবিসাস সভাপতি মোহাম্মদ আজহার বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল আমাদের নিজেদেরকে ভেঙে নতুন করে গড়ার আন্দোলন। চবি সাংবাদিক সমিতি একটি স্বতন্ত্র মিডিয়ার ন্যায় ভূমিকা রেখেছে।”

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে একটি শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। পরে মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় ‘বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশে গণমাধ্যমের যেমন সংস্কার চাই’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক। এছাড়া ‘বিপ্লব-পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজী।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, চবিসাসের সাবেক নেতৃবৃন্দ, সাধারণ সদস্যবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন ছাত্র প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।