৭ পুলিশ কর্মকর্তা ও জিয়াউল আহসানকে জুলাই গণহত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো


ঢাকা : গণহত্যার মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে তাদের বিষয়ে শুনানি চলছে।

এর আগে এদিন সকালে প্রিজন ভ্যানে করে তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যাদেরকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে, তার হলেন– সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসি’র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপি’র সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

ট্রাইব্যুনালে জিয়াউল আহসান বলেছেন, “আমরা কারও কল রেকর্ড করি না।”

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বুধবার তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। পরে তার বিরুদ্ধে গুম করে আয়নাঘরে নির্যাতন ও হত্যার তদন্তে পাওয়া অভিযোগ পড়ে শোনান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম শুনানিতে বলেন, “স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় যারাই কথা বলতো, তাদের গুম করে আয়না ঘরে নির্যাতনের পর হত্যার মূল কারিগর জিয়াউল আহসান।”

তবে জিয়াউল আহসান শুনানির শেষে ‘আদালতকে কিছু কথা বলতে চান’ বলেই বলা শুরু করেন।

এনটিএমসি’র এই সাবেক প্রধান বলেন, “আমি যেখানে চাকরি করি, সেটা হচ্ছে টেকনিকেল জিনিস। সেটা কেউ বুঝে না বলেই উল্টাপাল্টা কথা বলেন। আমরা কারও কল রেকর্ড করি না।”