আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিবাদী শক্তি ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে : আমীর খসরু


চট্টগ্রাম : আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিবাদী শক্তি ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামে সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও সংহতি দিবসে এক সভায় তিনি বলেন, “দেশে এখন নতুন করে ‘সংস্কারের বয়ান’ চলছে।” তিনি অভিযোগ করেন, এই বয়ানে কোথাও বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার বা নির্বাচন নিয়ে কোনো দিশা নেই।

আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বয়ানের পরিবর্তন নিয়ে তার মন্তব্য, “বাংলাদেশে নির্বাচন কখন হবে তা এ বয়ানের মধ্যে নেই। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বহীন একটি রাষ্ট্রের ভবিষ্যত কেমন হবে, সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।” তিনি বলেন, “জনগণের সমর্থন ছাড়া কিছু টেকে না। শেখ মুজিবুর রহমান বয়ান দিয়ে কিছুদিন স্বৈরাচারী রাষ্ট্র চালিয়েছিলেন। এর পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আরেক বয়ান দিয়েছিলেন। আর এখন চলছে সংস্কারের বয়ান।”

জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যেতে হবে বলে আহ্বান জানান খসরু। “নির্বাচনের মাধ্যমে যাদের জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, তারাই জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে,” বলেন তিনি।

“জাতীয় ঐক্যের পরিপ্রেক্ষিতে সহসা সমাধান করে গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যেতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন,” মন্তব্য করেন খসরু।

আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিবাদী শক্তি ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে খসরু বলেন, “এ ঐক্য ভাঙা যাবে না। আমরাই এ সরকারকে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করবো। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জনগণ এমন একটি সরকার দেখতে চায় যা তাদের স্বার্থ রক্ষা করবে।”

তিনি আরো বলেন, “১৫ বছর ধরে রাস্তায় আন্দোলন করে গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এই লড়াইয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। এখন সব হিসাব কষলে অসুবিধা হবে, কারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরার জন্য আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে।”

তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনঃস্থাপনের আহ্বান জানান খসরু। তিনি বলেন, “আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে চাই, জনগণ এমন একটি সরকার দেখতে পাক যা তাদের কথা বুঝবে এবং তাদের পাশে দাঁড়াবে। জবাবদিহিতাহীন কোনো সরকার কখনোই জনগণের স্বার্থ পূরণ করতে পারবে না।”