চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে “৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব ও জুলাই ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের গণ আকাঙ্ক্ষা এক ও অভিন্ন” এই প্রতিপাদ্যে এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক উম্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“গণ আকাঙ্ক্ষা ও ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সুযোগ ও ব্যর্থতা” শীর্ষক এই আলোচনা সভায় বক্তারা ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে ধারাবাহিকতা তুলে ধরেন। তারা বলেন, ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মূল চেতনা ছিল স্বৈরাচার ও অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সত্যিকার অর্থে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানও একই চেতনায় অনুপ্রাণিত ছিল।
সভাপতির বক্তব্যে এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক বলেন, “৭ নভেম্বরের বিপ্লবের মাধ্যমে যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটেছিল, জুলাই গণঅভ্যুত্থান তারই ধারাবাহিকতা।” তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করার ওপর জোর দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্নেল মো. দিদারুল আলম পিএসসি (অব.) বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল প্রতিষ্ঠা না করলে তাকে সহ পরিবারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হতো না।”
তিনি বলেন, “শেখ মুজিবের অপশাসন ও ভারতের আধিপত্য বিস্তারের কারণে জনগণ তার শাসন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার লড়াই ছিল শেখ মুজিবের অপশাসন থেকে মুক্তির লড়াই, ভারতের আগ্রাসী আধিপত্য থেকে বের হয়ে আসার লড়াই।”
প্রধান বক্তার বক্তব্যে এবি পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব ছিদ্দিকুর রহমান ৭ নভেম্বরের বিপ্লবকে “ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে” বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “আমরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ করেছি কিন্তু তখন শুধু যুদ্ধ হয়েছে, মুক্তি মেলেনি। শহীদ জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে স্বাধীন হোক। তিনি পৃথিবীতে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে হত্যা করার মাধ্যমে ৭ নভেম্বরের সংগঠিত সিপাহী-জনতার বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তৈরি হওয়া গণ আকাঙ্ক্ষার বিপরীত কোনও তৎপরতা সহ্য করা হবে না।”
চট্টগ্রাম মহানগর এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ও অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার যায়েদ হাসান চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর সহকারী সদস্য সচিব এবং এবি যুব পার্টির সমন্বয় আব্দুর রহমান মনির, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সোহরাব হোসেন পিয়াস, বোরহান উদ্দিন, রূপস বড়ুয়া রাজু, এবি পার্টির নেতা সঞ্চয় চৌধুরী, জায়েদ প্রমুখ।