আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারও হোয়াইট হাউজে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে নির্বাচনে একদফা হেরে আবার তার থেকেই ক্ষমতার চাবি নিচ্ছেন তিনি।
তবে নির্বাচনি প্রচারণার সময় প্রেসিডেন্ট হবার পর সবার আগে কয়েকটি কাজ করার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প।
১। রাষ্ট্রপতি হলে ব্যাপক হারে অবৈধ অভিবাসীদের দেশটি থেকে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
একইসঙ্গে প্রথম মেয়াদের যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত যে প্রাচীর তোলার কাজ শুরু করেছিলেন তা শেষ করার কথাও জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যদিও এই কাজে আইনি এবং লজিস্টিক চ্যালেঞ্জের কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।
২। অর্থনীতির ক্ষেত্রে কর কমানো, বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে নতুন শুল্ক আরোপ এবং “মূল্যস্ফীতি শেষ করার” প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে পণ্যে শুল্ক বাড়ালে সাধারণ মানুষের কেনার ক্ষমতা কমতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
৩। নির্বাচনি প্রচারণায় জলবায়ু বিষয়ক নীতি শিথিলের কথাও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
সেক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তির পরিবর্তে জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদনকে উৎসাহিত করা এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিরোধিতা করে মার্কিন গাড়ির উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নতুন এই প্রেসিডেন্ট।
৪। “২৪ ঘন্টার মধ্যে” ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনার অঙ্গীকার করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ বিষয়ে তিনি নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা দেননি।
৫। কিছু সমর্থকের ইচ্ছার বিপরীতে গিয়ে গর্ভপাতের বিষয়ে জাতীয় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে এই ইস্যুতে রাজ্যগুলির অধিকারকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
৬। ছয়ই জানুয়ারির দাঙ্গায় অভিযুক্ত কয়েকজনকে ক্ষমা করার কথাও জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তাদেরকে “ভুলভাবে বন্দি” রাখা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প, যদিও তিনি এটিও স্বীকার করেছেন যে কয়েকজন “নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল”।
৭। সবশেষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চালানো ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনাকারী বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথকে বরখাস্ত করার শপথ নিয়েছিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প দাবি করেন স্মিথ রাজনৈতিক “উইচ হান্ট” চালাচ্ছেন।