চট্টগ্রাম: নগরের প্রবর্তক মোড়ে অবস্থিত ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে সনাতনী ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মন্দির পরিদর্শন করেন। এই সময় তাদেরকে স্বাগত জানান ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী।
সনাতনী ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের লালদীঘি ময়দানের সমাবেশ থেকে ঘোষিত আট দফা দাবি এবং দাবি মানা না হলে ঢাকায় লংমার্চ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।
এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারীর কাছে জানতে চান, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা চলে যাওয়ার পর সনাতনী ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের ভিতর ‘অনিরাপত্তা’ অনুভূতি তৈরি হয়েছে কি না? এটি কি বাস্তবিকই সমস্যা নাকি মানসিক?”
এই প্রশ্নের উত্তরে লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “সনাতনীদের উপর আক্রমণ হয়েছে, এইরূপ তিনশো প্রমাণ আমাদের হাতে আছে।” এর উত্তরে এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেন, “আপনারা এই প্রমাণগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিন। সত্যিকার অর্থে এগুলো সঠিক হলে আমরা এবি পার্টি আপনাদেরকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
“রাষ্ট্র কোনো সাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান নয়। রাষ্ট্র হচ্ছে সকল নাগরিকের। রাষ্ট্র তার নাগরিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে কোনো বৈষম্য করতে পারে না। আপনাদের আট দফার মধ্যে যেগুলো সাম্প্রদায়িক, অর্থাৎ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে রাষ্ট্র কখনো মানতে পারে না, সেগুলো বাদ দিয়ে যেগুলো রাষ্ট্রের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব সেগুলোকে গুরুত্ব দিন। সেক্ষেত্রে আমরা এবি পার্টি আপনাদেরকে পূর্ণ সমর্থন করবো।”
এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের একজন প্রতিনিধি সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিকে সমর্থন জানান।
তবে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “আল্টিমেটাম দিয়ে কাউকে ক্ষমা চাওয়ার যে বক্তব্য সনাতনীদের পক্ষ থেকে এসেছে তা সমাজকে অস্থিতিশীল করতে পারে এবং আন্তঃসম্প্রদায় সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
উক্ত মতবিনিময় সভায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে দোলন কান্তি ধর, বিধান চন্দ্র দাস এবং মন্দিরের অন্যান্য সাধুরা উপস্থিত ছিলেন। এবি পার্টির পক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবুল কাশেম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সোহরাব হোসেন পিয়াস, যুবনেতা সঞ্জয় চৌধুরী, সুব্রত ধর, সুমন চৌধুরী, বোরহান উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।