চট্টগ্রাম : গণসংহতি আন্দোলনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক গণসংলাপে বক্তারা বলেছেন, রাউজান উপজেলাকে বিনা ভোটের মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলায় কোনো নির্বাচনে ভোট হয়নি, যেখানে প্রায় তিন লাখ ভোটার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। ফজলে করিম চৌধুরী যাঁকে মনোনয়ন দিতেন, তিনিই চেয়ারম্যান, মেম্বার বা মেয়র নির্বাচিত হতেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের নির্বাচন বন্ধের দাবি জানান তাঁরা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাউজানের নোয়াপাড়া পথের হাটে এক কনভেনশন হলে ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পূর্ব ও পরবর্তী রাউজানের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক গণসংলাপের আয়োজন করা হয়। গণসংহতি আন্দোলন রাউজান উপজেলার সংগঠক মো. মোরশেদুল আলমের সভাপতিত্বে এবং মো. হাবিবউল্লাহ রাসেলের সঞ্চালনায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
গণসংলাপে বক্তারা বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের জনগণের মধ্যে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা জরুরি। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে, যা হবে গণতান্ত্রিক। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ছিলো একটি গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা করা, কিন্তু প্রতিটি সরকার মানুষের সেই আকাঙ্ক্ষার যথাযথ মূল্যায়ন করেনি।”
বক্তারা আরও বলেন, “হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সেটি বাস্তবে রূপান্তর করতে হবে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে।”
গণসংলাপে অংশ নেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হাসান মারুফ রুমী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক নাসির জসি, চট্টগ্রাম সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সাহাদাৎ হোসেন তালুকদার, উত্তর জেলার সদস্য সচিব জাহেদুল আলম আল জাহিদ, চান্দগাঁও থানার আহ্বায়ক ইকবাল মাসুদ, বোয়ালখালী থানার আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মুক্তিয়ার এবং আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি।
অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মো. আবুল বশর, হাসান মুরাদ শাহ, শিক্ষক মোহাম্মদ খসরু, ইলিয়াস তালুকদার, মোহাম্মদ আরিফ, নাজমুল হাসান আসিফ, রুবেল হোসেন, শুভাশিষ ভট্টাচার্য ও স্বপন আচার্য উপস্থিত ছিলেন।