চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে পাকিস্তানের দোসর দাবি করে জনগণের কাঠগড়ায় তার বিচার হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে করদাতা সুরক্ষা পরিষদ। একই সাথে আগামী ৪ ডিসেম্বরের পর চট্টগ্রামে কে থাকবে তা-ও ফয়সালা হবে বলে জানিয়েছেন বর্ধিত গৃহকর কমানোর দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠনটির নেতারা।
করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমির উদ্দীনকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে নগরীর কদমতলী মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে করদাতা সুরক্ষা পরিষদ।
সংগঠনের উপদেষ্টা জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি পরিবহন মালিক নেতা নুরুল আবসার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমির উদ্দিন, উপদেষ্টা সিদ্দিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস পপি, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা চবি শিক্ষক আমির উদ্দিনকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দেয়ায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সমালোচনা করেন এবং জনগণের দাবি মেনে নেয়ার অাহ্ববান জানান। অন্যথায় উদ্ভুত যে কোনো পরিস্থিতির জন্য মেয়রকে দায়ী থাকতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
করদাতা সুরক্ষা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতা হাসান মারুফ রুমী গৃহকর কমানোর জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন মেয়রকে।
মেয়র নাছিরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি শুনে রাখুন-নিরস্ত্রভাবে পাকিস্তানের সোয়াত জাহাজকে যারা প্রতিরোধ করেছিল, সেই বীরের রক্ত আমাদের ধমনীতে। আমরা জানতে চাই, আপনি কয় জাহাজ অস্ত্র আমদানি করেছেন? আপনার অস্ত্রকে চট্টগ্রামের ৬০ লক্ষ মানুষ ভয় পায় না। আপনি পাইপ গান ঠেকাবেন? আপনি মনে করেছিলেন আমির উদ্দিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, কলম কষেন। তিনি যেমন শিক্ষক, তেমনি ৬০ লক্ষ মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের অন্যতম সেনাপতি। তার গায়ে হাত দিয়ে আপনি ৬০ লক্ষ মানুষের গায়ে আঘাত করেছেন। চট্টগ্রামের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আপনি নিজেকে মেয়র দাবি করতে পারেন না। জনগণের কাঠগড়ায় আপনার বিচার হবে।’
মেয়র আ জ ম নাছিরকে প্রস্তুত থাকার আহ্ববান জানিয়ে এই সংগঠক আরো বলেন, ‘আগামী ৪ ডিসেম্বর ফয়সালা হয়ে যাবে চট্টগ্রামে কে থাকবে, চট্টগ্রাম কার কথায় চলবে। আমাদেরকে আপনার পদত্যাগের আন্দোলনে বাধ্য করবেন না। অবিলম্বে জনগণের দাবি মেনে নিন, আপনার লোহা-লক্করকে কবর দিন।’
প্রসঙ্গত, রোববার (৫ নভেম্বর) চবি’র ইনস্টিটিউট অব অ্যাডুকেশন রিসার্চের সহযোগী অধ্যাপক আমির উদ্দিনকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আন্দোলন থেকে সরে যেতে হুমকি দেয় আ জ ম নাছির অনুসারী পরিচয়ে চবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে ওদিনই একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।