আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পর এবার বিশ্বব্যাংক থেকেও ঋণ সহায়তা পাচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। সোমবার এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, শিগগিরই ২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে।
বিশ্বব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করতে এই ঋণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকের তৎপরতার কারণেই এই ঋণ পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন বামপন্থি নেতা অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ১৬ দিনের মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ ঘোষণা এলো।
এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে এই ঋণের অর্থ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
করোনা মহামারি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশের নেতৃত্বাধীন সরকারের অপব্যয় ও অদক্ষতার কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত হয় শ্রীলঙ্কা। ডলারের সংকটে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি করতেও হিমশিম খেতে হয় দেশটিকে।
অভূতপূর্ব এই সংকটের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশেকে দায়ী করে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। জনগণের বিক্ষোভের মুখে রনিল বিক্রমাসিংহের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান গোতাবায়া।
রনিল বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আইএমএফের কাছে ঋণের জন্য আবেদন করে। দীর্ঘ তৎপরতার পর শ্রীলঙ্কাকে ২৯০ কোটি ডলার জরুরি ঋণ দিতে সম্মত হয় আইএমএফ।
আইএমএফের ঋণের টাকায় বর্তমানে কোনোমতে চলছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৪ নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর ঋণের জন্য আবারও আইএমএফের দ্বারস্থ হবে দেশটির সরকার।