চট্টগ্রাম : দেশের প্রতিটি সেক্টরে ইনসাফের ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম চালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে নগর উত্তর ছাত্রশিবির আয়োজিত সীরাতুন্নবী (স:) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “আজকে বিচারবহির্ভূত হত্যার কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি। অথচ গত ১৬ বছরে প্রকাশ্যে হাজারো বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটছে। এদেশে তারাই প্রথম বিচারবহির্ভূত হত্যার যাত্রা শুরু করেছে। এদেশে ইসলাম নিয়ে কথা বলায় জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, মীর কাশেম আলীসহ অনেককে অবৈধভাবে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমের হত্যা করেছে তারা (আওয়ামী লীগ)।”
“আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনামলে এমন কোন নির্মম ঘটনা নেই, যা এই জাতি দেখে নাই। আমরা দেখেছি এদেশের ছাত্র জনতার উপর রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন, পৃথিবীর আর একটি দেশেও এমন নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঢাকার রাজপথে লাশ দেখেছি। পুরো দেশে নেট বন্ধ করে ছাত্রজনতাকে হত্যা করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার।’
শিবির সভাপতি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ আমাদেরকে নিষিদ্ধ করতে এসেছিল, আজকে তাদের পরিণতি কী? তারা জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেরাই নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন। বিগত দুঃশাসনকালে কেউ ইসলাম চর্চা হতে দেখিনি বরং আমরা এমন দৃশ্য দেখেছি- যারা কুরআন-হাদিসের কথা বলেছেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বয়স্ক আলেমদের পায়ে ডাণ্ডা বেডি পরিয়ে তাদেরকে কারাগার থেকে নিয়মিত আদালতে উঠানো হয়েছে।”
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “অপশাসনের অবসানের পর এক অনিশ্চিত যাত্রা থেকে এ জাতি মুক্তির যে আলোর দিশা পেয়ে আজকে যে পথ চলছে, সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল ইসলামি ছাত্রশিবির এবং এ দেশের ছাত্রজনতা। ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার জুলুম চলাকালে পাহাড়সম নির্যাতন করেছে। এ দেশের ছাত্রজনতার ও তাওহীদি জনতার ত্যাগ এবং মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে আমার হাসিনা মুক্ত একটি দেশ পেয়েছি। তারা আমাদেরকে জুলুম করেছে। তারা ছিল জালেম। জালিমদের জন্য আল্লাহ দুনিয়াকে সঙ্কীর্ণ করে দেন, যার প্রমাণ হাসিনা নিজেই।”
শিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবিরী আল-মাদানী, প্রধান মুফাসসির হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুফতি আমির হামজা।
মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী, মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম সহ মহানগরীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।