একুশে ডেস্ক : ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার নেপাল থেকে ভারত হয়ে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য যে চুক্তি করার উদ্যোগ নিয়েছিল, সেটি সই হল। ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে বৃহস্পতিবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে সই হয় ত্রিপক্ষীয় চুক্তি।
কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি (এনইএ) ও ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভেপার নিগাম লিমিটেডের (এনভিভিএন) সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে সই করে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
চুক্তির আওতায় এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সাত মাস বিদ্যুৎ আসবে। ইউনিটপ্রতি দাম পড়বে ৮ টাকার কিছুটা বেশি, যা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয়ের চেয়ে কম। বাংলাদেশে এখন প্রতি ইউনিটের উৎপাদন ব্যয় ১১ টাকার বেশি।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠানে নেপালের নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ বিষয়ক মন্ত্রী দীপক খড়কা, বাংলাদেশের পানিসম্পদ সচিব নাজমুল আহসান এবং বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান অনুষ্ঠানে বলেন, এই চুক্তি আঞ্চলিক জ্বালানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এটি কেবল আমাদের তাৎক্ষণিক জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য নয়, বরং পরিবেশবান্ধব উপায়ে আমাদের দেশগুলির দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও ভূমিকা রাখবে।
চলতি বছরের ১১ জুন আওয়ামী লীগ সরকারে থাকার সময় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নেপাল থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ কেনার এ প্রস্তাব অনুমোদন করে। তখন প্রতি ইউনিটের দর স্থির হয় ৮ টাকা ১৭ পয়সা।
প্রতি বছর আনুমানিক ১৩০ কোটি টাকা হিসাবে এই বিদ্যুৎ কিনতে পাঁচ বছরে খরচ হবে ৬৫০ কোটি টাকা। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা হয়ে এই বিদ্যুৎ ঢুকবে।
আরও ছয় বছর আগে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা শুরু করে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে ২০১৮ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে দুই দেশ। নেপালের ওই জলবিদ্যুৎ ভারতীয় গ্রিড লাইন ব্যবহার করে আনতে হবে বলে এ বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছিল এতদিন।