‘আমাকে মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছে’-রূপার ফেসবুক স্ট্যাটাস, তারপর আত্মহত্যা


চট্টগ্রাম : প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির (৪০তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ফারহানা ইয়াসমিন রূপাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সহপাঠীরা।

বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নগরের দামপাড়া ওয়াসার মোড় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন গৃহবধূ রূপা। আত্মহত্যার আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমি যদি সুইসাইড করি বা আমার কোন কিছু হয় এর জন্য দায়ি আমার শাশুড়ি। উনি আমাকে মেন্টালি প্রেসার ক্রিয়েট করতেছে এটা করার জন্য’

গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় শুলকবহর এশিয়ান হাউজিং সোসাইটির জাকির ম্যানশনের ২য় তলায় একটি কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রূপা।

তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার দায়ে ২৯ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ মডেল থানায় স্বামী মারুফ মোহাম্মদ নাজবুল আলম (৩৮), ছাবেরা বেগম (৫৬), বেবি আক্তার (৪৫) ও ফরিদা বেগম (৪৩) এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার আবদুর রশিদের কন্যা রূপার সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা এলাকার মারুফ মো. নাজবুল আলমের সাথে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে রূপার ওপর নির্যাতন চালাতো এবং রূপাকে তার বাবার ফ্ল্যাট স্বামীর নামে লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করতো বলে অভিযোগ করেছে রূপার পরিবার।