আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার চার দিন পর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সামাজিকমাধ্যম এক্সে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ তথ্য জানিয়েছে।
হামলায় কেউ আহত হয়নি বলে দাবি করছে ইসরায়েল। তবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা জরুরি বাংকারে আশ্রয় নিয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন দেশটির সাধারণ নাগরিকরাও। ইসরায়েলজুড়ে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরানও। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, তেহরানের সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করেছে। সর্বশেষ ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার ইসরায়েলে হামলা চালাল ইরান। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর বিপরীতে ইসরাইল ক্ষেপনাস্ত্র জবাব দিলে আরো বেশি হামলার হুমকি রয়েছে ইরানের পক্ষ থেকে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-মনিটর জানিয়েছে, তেল আবিবসহ অন্যান্য শহরজুড়ে ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সকল বেসামরিক লোকদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বার্তায় দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় সেনা কমান্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, ‘সাইরেন শুনলে আপনাকে অবশ্যই একটি সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।’
এর আগে ইরান থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরিকল্পনা চলছে বলে সতর্ক করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘আমরা এই হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতিকে সমর্থন করছি। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক হামলা ইরানের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানের বিপ্লবী গার্ডের ডেপুটি কমান্ডার আব্বাস নীলফরৌশানকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি।