শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১

শেখ মুজিব রমনা মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন—বিস্ফোরক মন্তব্য গয়েশ্বরের

প্রকাশিতঃ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬:৩৫ অপরাহ্ন


হাটহাজারী প্রতিনিধি : বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে বিভাজনের রাজনীতি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সবসময় সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুদের মধ্যে বিভাজনের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নে রাধাষ্টমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগই হিন্দুদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালের ৩ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির নামে রমনা মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। আমি এই বিষয়টি শতভাগ সত্য বলে দাবি করছি এবং এ নিয়ে আমি চ্যালেঞ্জ করতে প্রস্তুত।”

তিনি আওয়ামী লীগের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে জনগণ কথা বলতে পারেনি, ভোট দিতে পারেনি। সবকিছু এক দল ও এক পরিবারের অধীন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগ নেতারা জনগণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা জনগণের বিরুদ্ধে রাজনীতি করেছে, শোষণ করেছে। আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা ভয় পাই না, কারণ আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি।”

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তার বাড়িতে হামলা হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের সময়। থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি, কারণ তিনি হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও বিএনপি করেন। তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করায় তিনি এত জনপ্রিয় ছিলেন, আর এক দলের নেত্রীকে জনরোষে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, “হাটহাজারী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির। এখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই নিরাপদে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছেন। এ অঞ্চলে শত বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন পুন্ডরীক বিদ্যানিধি স্মৃতি সংসদের সহ সভাপতি স্বপন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাস্টার অশোক কুমার নাথ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, উপজেলা বিএনপি সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, শিক্ষক কুশল বরণ চক্রবর্তীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।