ঢাকা: রমজানে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় চিনি, ছোলাসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তোফায়েল। এবার রোজা আসার আগ থেকেই চিনি, ছোলা, ডাল, বেশ কিছু সবজি এবং মাছ মাংসের দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, রমজানের অতিরিক্ত চাহিদার কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধি। তবে বাজারে পণ্যের কোনও সংকট নেই বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ বলছে, চিনি, ছোলা, ডাল, ভোজ্যতেল ও খেজুর-এই পাঁচটি পণ্যের আমদানিমূল্য এবং খুচরা বাজারের বিক্রিমূল্যের মধ্যে ব্যবধান ‘অস্বাভাবিক’। অতিরিক্ত লাভ করায় বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের তদারকি কমিটি চট্টগ্রামে চিনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মীর গ্রুপকে ২০ লাখ টাকা জরিমানাও করে। অতিরিক্ত মুনাফার প্রবণতা না ছাড়লে অন্যদের পরিণতিও মীরের মতো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তোফায়েল আহমেদ। তবে অতিরিক্ত মুনাফার প্রবণতা ঠেকানো যায়নি।
জাতীয় সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। রমজান মাসেও নিত্যপ্রণ্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ করতে ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূবার্ভাস সেল’ গ্রঠন করা হয়েছে। এই সেল আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উৎপাদন প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ ও পরিবীক্ষণ করে। এছাড়া, এই সেল বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, টিসিবি এবং কৃষি বিপণন অধিদফতর হতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে আমদানির তথ্যাদি ও ঋণপত্র নিষ্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি, বন্দরসমূহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হয়’।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রমজান মাসে টিসিবির পরিবেশকদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ট্রাক ও টিসিবির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সারা দেশে ১৭৪টি ট্রাকে করে চিনি, সয়াবিন তেল, মশুর ডাল, ছোলা ও খেজুর বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া টিসিবির তিন হাজার ৫৪ জন পরিবেশক এবং টিসিবির কার্যালয়ে খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে।