রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

সংঘর্ষে আহত ১৩০ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিতঃ ৪ অগাস্ট ২০২৪ | ৭:৪৬ অপরাহ্ন


চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে দুই শতাধিকের বেশি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৩০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার (৪ আগস্ট) সকালে শুরু হওয়া সংঘর্ষের পর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সহপাঠী ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অন্যান্য আহতরা চমেক ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চমেক হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সংঘর্ষে আহত ১৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ৯ বছরের শিশু ও এক ছাত্রী রয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকদের মতে, আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ, ইটপাটকেলের আঘাতপ্রাপ্ত এবং ছুরিকাঘাতের শিকার ব্যক্তিরা রয়েছেন।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‌‘সংঘর্ষে আহত ১৩০ জন চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। চট্টগ্রাম ছাড়াও পটিয়া এবং ফেনী থেকেও আহতদের এই হাসপাতালে আনা হয়েছে।’

ফেনীতে সংঘর্ষে মাথায় গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে আনা হয়। বাকিরা চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট, তিন পুলের মাথা, সদরঘাট, টেরিবাজার, লালদিঘির পাড়, ওয়াসা, নন্দন কানন, লালখান বাজারসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে আহত হন। ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে নিউমার্কেট চত্বরে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরাও একত্রিত হয়ে ছাত্রদের ওপর গুলি, পাথর এবং ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষে আহত শতাধিক মানুষ হাসপাতালে এসেছেন। তাদের অনেকেই গুলিতে আহত।