আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলি হামলায় নিহত জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছে সংস্থাটি। শুধু কর্মীদের হত্যা নয়, জাতিসংঘের ত্রাণ গুদামে ইসরায়েলের পরিকল্পিত হামলারও তদন্ত চেয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণ শাখার পরিচালক জুলিয়েট টওমা।
মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ দাবি জানান জুলিয়েট টওমা। খবর আনাদোলুর।
জাতিসংঘের এ ত্রাণ কর্মকর্তা শুক্রবার বলেন, জাতিসংঘের সংস্থা ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনে উল্লেখ আছে।
একইসঙ্গে জাতিসংঘের স্থাপনাগুলো বেসামরিক নাগরিকরা নিরাপদ আশ্রয় শিবির হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
কিন্তু গত বছরের ৭ আক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ভয়াবহ বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
তাদের নৃশংতার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না নারী-শিশুসহ নিরস্ত্র বেসামরিক লোকজনও।গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এপর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।এছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮৩ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা মাহমুদ বাসাল জানান, গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত আসমা স্কুলে শুক্রবার (৭ জুন) ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
দুই দিনের মধ্যে একাধিক স্কুলে বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল। এর আগে গত বৃহস্পতিবার গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে আরেকটি স্কুলে হামলা চালায় ইসরায়েল। সেখানে বসতবাড়ি হারানো ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক সব রীতি-নীতি উপেক্ষা করে এক কথায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল।