গুপ্ত হত্যা ইসলাম সমর্থন করে না -হেফাজত

চট্টগ্রাম: গুপ্তহত্যা ইসলাম সমর্থন করে না এবং গুপ্তহত্যার মাধ্যমে দেশ অস্থির করার পাঁয়তারা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পাঠ্যপুস্তকে ইসলামী ভাবধারার লেখা বাদ দিয়ে নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠা, শিক্ষানীতি ২০১০ ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬ বাতিল এবং গুপ্তহত্যা, খুন-গুম, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়

জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, ইসলামের সঙ্গে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক নেই। যে কোন ধরনের হত্যা ইসলাম সমর্থন করে না। তাই যারা জুলুম-অত্যাচার করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় না এনে নিরাপরাধ মানুষের উপর দোষ চাপানোর কারণে প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়ছে না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটি সংঘবদ্ধ ঘাতকচক্র দেশে সিরিজ টার্গেট কিলিংয়ে মেতে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন লোক। ইসলামে এ ধরনের গুপ্তহত্যা, অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা, গুম, খুন, বৃদ্ধ, নারী ও শিশু হত্যা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ইসলাম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

হেফাজতের মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে সব সম্প্রদায়ের লোকজন মিলেমিশে বাস করছি। মানুষ হিসেবে আমরা সবাই ভাইভাই। কিন্তু একটি গোষ্ঠী পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামী ভাবধারার লেখা বাদ দিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। যারা এ ধরনের কাজ করছে তারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরোধী।

শিক্ষানীতিকে ‘ধর্মহীন’ এবং শিক্ষা আইনকে (২০১৬) ‘বিতর্কিত’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত গল্প ও কবিতার সংখ্যা ১৯৩টি। এরমধ্যে ইসলাম বিদ্বেষী লেখকের সংখ্যা ১৩৭। এছাড়া অবশিষ্ট লেখাগুলোর মধ্যেও ইসলামী ভাবধারার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কোন লেখা নেই। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্র নাস্তিক্যবাদ ‍উস্কে দিতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা একটি কুচক্রি মহল এই কাজ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সরওয়ার কামাল আজিজি, মুনির আহমদ প্রমুখ।