কর্ণফুলী টানেলে চীনের অর্থছাড়ে প্রতিবন্ধকতা নেই : ওবায়দুল কাদের

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে চীন থেকে অর্থ ছাড় নিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় টানেল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের কাজ চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়েছে। এটি নির্মাণের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে চার বছর। এই প্রকল্পের জন্য চীন সরকার দিচ্ছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জি টু জি পদ্ধতিতে নির্মাণাধীন কর্ণফুলী টানেলের অর্থছাড়ে চীনের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। অর্থছাড়ের ব্যাপারে যে সমস্যা মনে করা হচ্ছে, এমন কোনো সমস্যা আমরা ফেইস করছি না। টানেলের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। তবে বিদেশিদের প্রকল্পে অর্থছাড়ে কিছু প্রক্রিয়া থাকে। বিষয়টি তাদের প্রক্রিয়াগত ব্যাপার। আমি যতটুকু জানি অর্থছাড়ের ব্যাপারে এ মুহুর্তে কোনো জটিলতা নেই। টানেল নির্মাণে অর্থছাড়ের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এতে কোনো প্রক্রিয়াগত ও পদ্ধতিগত বাধা নেই।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজানের পর থেকে আমাদের বিদেশি প্রজেক্ট কিছুটা ধীরগতি হয়ে গিয়েছিল। সঙ্গত কারণে কনসালটেন্টরা তাদের জীবনের নিরাপত্তার কথা বলেছে। এখনও মেট্রো রেলের কাজও চলছে টানেলের কাজও চলছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে মাস ছয়েক দেরিতে টানেল নির্মাণ কাজ শেষ হতে পারে। আমরা এ টার্গেটটি কমিয়ে দিতে পারি। কিন্তু কাজটি খারাপ হবে। আমরা খারাপ কাজ, খারাপ দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই না।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টানেল নির্মাণ কাজ শেষ হবে কিনা তা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের মহাসড়কের যে পরিকল্পনা নিয়েছে এটা ইলেকশনের জন্য নয়, এটা নেক্সট জেনারেশনের জন্য। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা উন্নয়ন করছি।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের; তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আমরা মানবিক সাহায্য করছি। তাদের ফেরত পাঠানো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি সরকারের মূল লক্ষ্য। রোহিঙ্গারা যাতে অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমার সরকারের সৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকট সে দেশের সরকারকেই সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে সে দেশের মন্ত্রী ঢাকা সফরকালে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতিসংঘের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হবে।

এ সময় শামসুল হক চৌধুরী এমপি, তাজুল ইসলাম এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্প এবং সওজ চট্টগ্রাম জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।